নকশি কাঁথার নান্দনিকতার ছোঁয়ায় সেজে উঠুক আপনার ঘর!!!

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে 'আজকের ডিল ডট কম'
'Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে

নকশি কাঁথা আমাদের দেশীয় ঐতিহ্য, আমাদের অহংকার। এদেশের কারুশিল্পীদের নিপুন হাতের অনবদ্য সৃষ্টি। সেই আদিকাল থেকে আজ অবধি নকশি কাঁথার আবদার একটুও কমেনি। বরং সময়ের বিবর্তনে নকশি কাঁথার চাহিদা আরও বেড়েছে।

যুক্ত হয়েছে আধুনিক ফ্যাশনেবল সব ডিজাইন আর নতুন নতুন নকশা। বর্তমানে ঘরের বিছানাতে ফ্যাশনেবল লুক আনতে নকশি কাঁথার জুড়ি মেলা ভার। বন্ধুরা, আজকের আয়োজন আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের হস্তশিল্পের অন্যতম উপাদান নকশি কাঁথা নিয়ে।

নকশি কাঁথা আমাদের ঐতিহ্য

কাঁথার সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশী পরিচিত। এদেশে এমন কোন পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কাঁথার ব্যবহার নেই। কাঁথা শব্দের অভিধানিক অর্থ ‘জীর্ণ বস্ত্রে প্রস্তুত শোয়ার সময়ে গায়ে দেয়ার মোটা শীতবস্ত্র বিশেষ, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এ কাঁথা কেতা, কাতা এবং খেতা নামেও পরিচিত। সুনিপুণ হাতে সুচ আর সুতোয় গ্রাম বাংলার বধূ কন্যাদের মনের মাধুরী মেশানো রং দিয়ে নান্দনিক রূপ-রস ও বর্ণ-বৈচিত্রে ভারা যে কাঁথা তাই নকশি কাঁথা।

নকশি কাঁথায় আমরা প্রতিনিয়ত খুঁজে পাই আমাদের শিল্প, সংস্কৃতি, সমাজ-সভ্যতা, প্রকৃতির অপর সৌন্দর্য, গৌরবগাঁথা ও সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। এটি মূলতঃ গ্রামীণ মহিলাদের শিল্পকর্ম হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। নকশি কাঁথা শিল্পেরসাথে আমাদের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডও জড়িয়ে আছে।

নকশী কাঁথায় শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি

নকশি কাঁথা নিয়ে লেখা হয়েছে কাব্য, গাঁথা ও রচনা। এদেশের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। তিনি তাঁর রামায়ণ কাব্যে সীতার অন্যান্য গুণের সাথে কাঁথা সেলাইয়ের কথা বলেছেন এভাবে, ‘সীতার গুণের কথা কি কবি হব আর, কন্থায় অাঁকিল কন্যা চান সুরুজ পাহাড়৷ আরও যে, অাঁকিল কন্যা হাসা আর হাসি৷ চাইরো পাড়ে অাঁকে কইন্যা পুষ্প রাশি রাশি’৷ পলীকবি জসীমউদ্দীনের অনবদ্য কাব্যগ্রন্থ ‘নকশি কাঁথার মাঠ’ ও এরই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পলী রমণীদের শিল্পী মনের এক অপূর্ব অভিব্যক্তি যেন নকশি কাঁথা। বিভিন্ন ধরনের কাপড়েরর আস্তরণের উপর সুচ আর সুতোয় একে একে ফুটে উঠে আম, মাছ, খেজুর গাছ, পাখী, পাল্কী, লাঙ্গল, নৌকা, হাতি, ফুল, লতাপাতা, ঘোড়া, চাঁদ-তারা, রাজ-রাজার জীবনকাহিনী, কল্পনার পরী, যুদ্ধ-বিগ্রহ, নর-নারীর প্রেম ভালোবাসা এবং একই সাথে গ্রামীণ জীবনের অনেক কিছু। এ যেন শিল্পীর কাছে অতি পরিচিত পরিবেশ ও প্রকৃতির নি:শর্ত আত্মসমর্পণ।

গ্রাম বাংলার নকশি কাঁথা

এদেশের গ্রামের বধূ ও কন্যারা একসময় শুধুমাত্র পরিবারের প্রয়োজনে নকশি কাঁথা তৈরি করতো।আর এরই মাঝ দিয়ে ঐতিহ্যেরও প্রকাশ পেত। সাধারণত: বর্ষকালে গ্রামের মহিলাদের সংসারের কাজকর্ম কম থাকায় এ সময়টাতে তারা কাঁথা তৈরি করতো। বলতে গেলে গ্রামীণ জীবনে এ ধারা আজও অব্যাহত আছে। আমাদের দেশের প্রায় সর্বত্রই নকশি কাঁথা তৈরি হতো। ব্যবহৃত পুরাতন শাড়ি এবং শাড়ির পাড়ের সুতো তুলে তৈরি হতো নকশি কাঁথা।

বাংলাদেশের রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ কুমিলা ও সিলেট অঞ্চলে তৈরি হতো এসব কাঁথা। বিভিন্ন অঞ্চলে ফোড়, পাইড় ও নকশা অনুযায়ী নকশি কাঁথা ভিন্ন ভিন্ন নামেও পরিচিত। এগুলো হলো: বরকা ফোঁড়, তেজবি ফোঁড়, বাশপাতা ফোঁড়, কইতা ও বিছা ফোঁড় ইত্যাদি পাড়ের নামে তোলো পাইড়, তাস পাইড়, নয়নলতা, নারিকেল পাতা ও নৌকা বিলাস আরও বহুন নামের নকশী কাঁথা রয়েছে।

বাহারি নকশি কাঁথা

আবহমানকাল ধরে এ দেশের মানুষ নকশি কাঁথা ব্যবহার করে আসছে। শহরে কিংবা গ্রামে সর্বত্র আজও কাঁথার যথেষ্ট কদর রয়েছে। তবে আগেকার দিনে প্রতিটি পরিবারে নকশি কাঁথার ব্যবহার ছিল ব্যাপক ও বহুবিধ। ব্যবহার অনুযায়ী এগুলোর নামেও ছিল ভিন্নতা। যেমন, শীতের জন্য লেপকাঁথা, বালিশে ব্যবহারের জন্য বয়তন, নামাজের জন্য জায়নামাজ কাঁথা, বসার জন্য আসন কাঁথা এবং খাবারের জন্য দস্তরখানসহ কাঁথার ব্যবহার অনুযায়ী আরো অনেক নাম ছিল।

মেয়েদের বিয়েতে এবং আত্মীয়-স্বজনকে কাঁথা উপহার হিসেবে দেয়ারও প্রচলন ছিল। স্নেহময়ী মা তার সন্তান, প্রেমময়ী স্ত্রী তার স্বামীর জন্য এবং নানি-দাদি, খালা-ফুফুরা পৃথিবীতে নতুন অতিথির আগমনকে সামনে রেখেও কাঁথা তৈরি করতো। এ প্রচলন আজও একেবারে ফুরিয়ে যায়নি।

নকশি কাঁথার চাহিদা

সেকালের নকশি কাঁথা আজো আছে এবং তৈরিও হচ্ছে। তবে বিবর্তনের ধারায় সময় ও চাহিদার প্রেক্ষিতে আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকর্মেও লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। নকশি কাঁথার চাহিদা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এসেছে ব্যাপকতা ও নতুনত্ব।

দেশের সীমা পেরিয়ে নকশি কাঁথা আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাদৃত হচ্ছে। শৌখিন পণ্য হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরি হচ্ছে নকশী কাঁথা। পুরাতন কাপড় ও সুতোর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে নতুন মার্কিন, লাল শালু কিংবা কালো কাপড় এবং বিদেশি সিল্কি পেটি সুতো।

কোথায় থেকে কিনবেন, দাম কেমন?

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোনো আধুনিক শপিং মল ও দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোয় নকশি কাঁথা পাওয়া যাবে। এছাড়াও যেতে পারেন নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া ও পুরান ঢাকার চকবাজারে। একটু চোখ বুলালেই দেখবেন নিউমার্কেট সংলগ্ন ফুটপাতেও বসেছে নকশি পণ্যের পসরা। মোহাম্মদপুর, কলেজ গেটেও নকশি কাঁথা ও চাদরের বেশ কিছু দোকান রয়েছে।

cএগুলো ছাড়াও দেশের বড়বড় অনলাইন শপিংমল গুলোতে রয়েছে নকশি কাঁথার শত শত কালেকশন। শত ব্যস্ততার মাঝেও ইচ্ছে করলে তাদের শপিং সাইটে গিয়ে পছন্দমত নকশি কাঁথার অর্ডার করলেই আপনার ঘর পন্য পৌঁছে যাবে। ডিজাইন ও নকশা ভেদে সবগুলো মার্কেটে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যেই নকশি কাঁথা পেয়ে যাবেন। নিচে একটি লিংক দিয়ে দিলাম সেখান থেকে কিছু কালেকশন ও দাম দেখে নিতে পারেন।

দেড় শতাশিক নকশি কাঁথার কালেকশন দেখুন

 

-
-
-

কৃতজ্ঞতা স্বীকার: আমাদের চারদিকে ঘটছে অনেক কিছু। আমাদের সবার মনেই আছে অনেক কথা নানা জিজ্ঞাসা নিজস্ব মতামত। অনেক কিছু আমরা জানতে চাই আবার জানাতেও চাই। নিজের চেনা জানার বাইরেও আছে আরেকটি জগত যারা হয়ত আমাদের মতই ভাবছে চিন্তা করছে। তোমাকে তোমার নিজের মত করে প্রকাশ করার একটি নতুন জায়গা - বেশতো ! চল ঘুরে আসি।

-
-
-

কেন আজকের ডিল ?

ঢাকার বাইরের ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মল আজকের ডিল ডট কম দিচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ৪৫ টি জেলায় পণ্য ডেলিভারী সুবিধা। এখন থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি গ্রহণ করতে পারবেন আপনার নিকটস্থ এস,এ পরিবহনের শাখা অফিস থেকে। এস,এ পরিবহন শাখা অফিসে মূল্য পরিশোধ করে গ্রহণ করুন আপনার কাঙ্ক্ষিত পণ্য।

ঘরে বসে অর্ডার দিন, পণ্য বুঝে মূল্য দিন

  • Cash on Delivery (Free for Maximum Deals) :ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন আপনার ক্রয় করা পণ্যটি আর ক্যাশ পেমেন্ট করতে পারবেন ঘরে বসেই।
  • Lowest Price in Market :আজকের ডিলের মূল উদ্দশ্যই সুলভ মূল্য আর বাজারের মূল থেকেও কম দামে পণ্য আর সার্ভিস আপনাকে পৌঁছে দেওয়া।
  • Online Payment Facility :আপনি আপনার ডেবিড কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ভিসা, মাস্টার কার্ড এমন কী বিকাশ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করে ডিল ক্রয় করতে পারবেন।
  • Delivery within shortest period of time :আজকের ডিল টিম, যথা সম্ভব কম আর দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার কাছে পণ্য পৌঁছিয়ে দিবে।

24 ঘণ্টা 7 দিন এখন পণ্য কিনুন আজকের ডিল থেকেঃ

সপ্তাহে ৭ দিন এবং ২৪ ঘন্টা পণ্য কিনতে পারবেন আজকের ডিল থেকে। ২৪ ঘন্টা কাস্টোমার সাপোর্ট থাকছে সেই সাথেই। ছুটি কিংবা হরতাল এখন আর নো চিন্তা, কেনাকাটার জন্য সব সময় প্রস্তুত আজকের ডিল।

পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই ? আজকের ডিলে পাচ্ছেন সব ধরনের পেমেন্ট সুবিধা।

আজকের ডিল ডট কম ক্রেতাদের মূল্য পরিশোধ করার জন্য করেছে সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক পদ্ধতি। ক্রেতারা অনলাইনে ক্রেডিট কার্ডের সাহায্যে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। বিকাশ করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। পণ্য বুঝে পাবার পর মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। এছাড়াও সরাসরি আজকের ডিল ডট কম অফিস থেকে পণ্য সংগ্রহ করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।

সরাসরি ফোনে অর্ডার করে পণ্য ক্রয় করতে পারেন আজকের ডিল থেকে

আজকের ডিল আপনাদের জন্য নিয়ে এল সরাসরি ফোনে অর্ডার করে পণ্য কেনার সুবিধা। সরাসরি ফোন করে এখন থেকে আপনি আপনার পছন্দের পণ্য  কিনতে পারবেন আজকের ডিল থেকে। আপনার অর্ডার করতে ডায়াল করুন এ ০৯৬১২ ০০৭ ০০৭  নাম্বারে।

আজকের ডিল কাস্টমার কেয়ার বিভাগঃ

আজকের ডিল ডট কম, সুমনা গনি ট্রেড সেন্টার, প্লট নং - ০২, লেভেল-০৫,পান্থপথ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

এছাড়া যেকোন তথ্য জানার জন্য ফোন করতে পারেন এই নং এ –০১৮৩৩৩২৮৪৯৪, ০১৮৪৭০২৭৫১৩, ০১৭৫৫৫৮২৫৭০

নতুন নতুন অফার আর আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট পেতে চোখ রাখুন আজকের ডিল এর ফেসবুক পেজে।

https://www.facebook.com/ajkercrazydeal/

আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ফানপেজ এ আমাদের অফারসমুহ আপলোড করি যেখানে আপনি সচ্ছন্দে আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের সম্পর্কে।

আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের ফ্যানপেজ এ আমাদের অফারসমুহ আপলোড করি যেখানে আপনি সচ্ছন্দে আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের সম্পর্কে।

ছাড়াও আমাদেরকে ই-মেইল করতে পারেন। [email protected] এ ঠিকানায়। সোশ্যাল মাধ্যম গুলোতে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে নিচের সাইট গুলো অনুসরণ করুন -

আপনাদের সন্তুষ্টি, আমাদের অর্জন

আমাদের ১ লক্ষ+ রকমারি পণ্য থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যটি। সারা দেশে ক্যাশ অন ডেলিভারী সহ পাচ্ছেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিশ্চিত ডেলিভারী। তাহলে আর দেরী কেন, অর্ডার দিন এখনি আর ঝটপট নিয়ে নিন ডেলিভারী!

 "দেশের সবচেয়ে বড় অনালাইন শপিং মল আজকের ডিল ডট কম এর সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ"

এটি একটি Sponsored টিউন। এই Sponsored টিউনটির নিবেদন করছে ' ডট কম'
'Sponsored টিউন by Techtunes tAds | টেকটিউনস এ বিজ্ঞাপন দিতে ক্লিক করুন এখানে

Level 4

আমি আজকের ডিল ডট কম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 686 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 15 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস