লেজহীন ধুমকেতু, খুলতে পারে রহস্যের দুয়ার।

লেজহীন ধুমকেতু, খুলতে পারে রহস্যের দুয়ার।প্যানোর্যাদমিক সার্ভে টেলিস্কোপ এবং রেসপন্স সিস্টেম বা প্যান-স্টারস ২০১৪ সালে ধূমকেতুটির অবস্থান শনাক্ত করে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকী এ বিষয়ে গত শুক্রবার একটি গবেষণা নিবন্ধ ছেপেছে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই ধূমকেতু পাথুরে উপাদানের তৈরি। আর এসব উপাদান সাধারণত পৃথিবীর আশপাশেই পাওয়া যায়।
অধিকাংশ ধূমকেতু মূলত বরফ ও অন্যান্য হিমায়িত উপাদানে তৈরি। আর সেগুলোর অবস্থান সৌরজগতের দূরবর্তী হিমশীতল অঞ্চলে হয়ে থাকে। গবেষকদের ধারণা, পৃথিবী যে অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল, নতুন ধূমকেতুটির উৎপত্তি সেখানেই। তারপর হয়তো এটি গ্রহরাজির জায়গা বদলের কোনো এক পর্যায়ে দূরে সরে গেছে।
জ্যোতির্বিদেরা এই প্রথম কোনো লেজবিহীন ধূমকেতুর খোঁজ পেয়েছেন। এটির নাম ‘ম্যাংকস’ বা ‘সি/২০১৪ এস৩’। গবেষকদের আশা, এই ধূমকেতুর গঠন উপাদান বিশ্লেষণ করে সৌরজগতের সৃষ্টি ও ক্রমবিকাশ নিয়ে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত কিছু প্রশ্নের জবাব মিলবে।

এখন বিজ্ঞানীরা জানতে চাইছেন, ম্যাংকসের মতো এমন লেজবিহীন আরও ধূমকেতু আছে কি না এবং থাকলে তাদের সংখ্যাটা কত। এসব তথ্য পেলে সৌরজগতের উৎপত্তি এবং বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানের নতুন দুয়ার খুলে যেতে পারে। গবেষণা নিবন্ধটির সহলেখক জার্মানির ইউরোপিয়ান সায়েন্স অবজারভেটরির জ্যোতির্বিদ অলিভিয়ের হেইনট বলেন, এ রকম ধূমকেতুর সংখ্যাটা জানতে পারলে বোঝা যাবে, বড় বড় গ্রহ অল্প বয়সে খুব বেশি নড়াচড়া বা জায়গা বদল করেছিল, নাকি জন্মের পর থেকে একই জায়গায় ধীরস্থিরভাবে বেড়ে উঠেছিল।
ম্যাংকস যে অঞ্চলে অবস্থান করছে, সাধারণত সেখানকার অন্য ধূমকেতুগুলোর লেজ থাকে। কারণ, সেগুলো সূর্যের দিকে ধেয়ে চলে। তখন তাদের শরীরের বরফ থেকে বাষ্পাকারে ধোঁয়া বেরোয়, আর তাতে সূর্যালোকের প্রতিফলন ঘটে বলে উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু ম্যাংকসের কোনো লেজ দেখা যায়নি।
টিউন টি সর্ব প্রথম আমরাইতো ডট কমে প্রকাশিত হয়। ভাল লাগলে আমাদের সাইটে আসবেন কিন্তু।

Level 0

আমি আল মাসুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 68 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস