জাপানে উচ্চ শিক্ষা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

#জাপানে উচ্চ শিক্ষা ও ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

✅ #IELTS_ছাড়া_এবং_JOB_সহ!

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানে উচ্চ শিক্ষা এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করতে যাওয়া বাংলাদেশির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বর্তমানে জাপানের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। তবে সে তুলনায় লোকবল দিনদিনই কমছে। বিশ্ব জনসংখ্যা রিভিউ রিপোর্ট -২০১০ অনুযায়ী, জাপানের জনসংখ্যা গত ৫ বছরেই কমে গেছে প্রায় ১০ লাখ। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তিকে জাপানে চাকরি ও শিক্ষা অর্জনে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। আর এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো।

#জাপান_কেন_যাবেন
জাপানের শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৭৮০টি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক অনেক কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাপ্তাহিক ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে জাপান সরকার, যা ইউরোপ-আমেরিকার অনেক উন্নত দেশেও নেই। এছাড়া, বার্ষিক ছুটির সময়কাজের সময় নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। প্রথম অবস্থায় জাপানে প্রতি ঘণ্টায় পার্টটাইম কাজের বেতন সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ১২০০ জাপানি ইয়েন। দক্ষতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতনও বাড়তে থাকে।

#জাপানে_যে_বিষয়ে_পড়াশোনা_করা_যাবে

জাপানে প্রায় সব বিষয়েই পড়াশোনার সুযোগ আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য_ হিউম্যান স্টাডিজ, লিঙ্গুগুয়িস্টিক স্টাডিজ, হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ, হিউম্যান সায়েন্স, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল অ্যান্ড সোসাইটি, পাবলিক ল অ্যান্ড পলিসি, ইকোনমিক্স, ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্ট্যান্সি, ফিজিক্স, অ্যাস্ট্রোনমি, জিওফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, আর্থ সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, ডিজঅ্যাবিলিটি সায়েন্স, ডেন্টিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল সিস্টেস অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যানোমেকানিক্স, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইত্যাদি।

#জাপানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো:
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ৯.৫ শতাংশই জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। জাপানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের এই ব্যাপক চাহিদার কারণ হচ্ছে, জাপানে ছাত্রছাত্রীরা যুগোপযোগী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে শুরু করে যে কোন বিষয়ে জাপানী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনার বিস্তৃত সুযোগ। জাপানের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেয়া হলো:
ইউনিভার্সিটি অব টোকিও, ওসাকা ইউনিভার্সিটি, ওকায়ামা ইউনিভার্সিটি, টোকিও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স, টোকিও ইউনিভার্সিট, হিরোশিমা ইউনিভার্সিটি, টোকিও মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটি, ওসাকা সিটি ইউনিভার্সিটি, তোকুশিমা ইউনিভার্সিটি, ইয়োকো হামা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

#কোর্সের মেয়াদ ও যোগ্যতা
এডুকেশন ভিসা নিয়ে অনেকেই জাপান যচ্ছেন। আপনি যদি এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তবে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি বা গ্রাজুয়েশন এবং ব্যাচেলর্স ডিগ্রিতে উত্তীর্ণ হলে মাস্টার্সে বা টিউন গ্রাজুয়েশনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ব্যাচেলর্ ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট প্রোগ্রামে পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য আপনি জাপানে যেতে পারেন। রয়েছে ১ বছর ৩ মাস থেকে ২ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সও। ব্যাচেলর্স ডিগ্রির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই চার বছর মেয়াদি কোর্স পড়িয়ে থাকে। আর মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য রয়েছে দুই বছরে মেয়াদি কোর্স।
#প্রথম_ধাপের_প্রস্তুতি
জাপানী ভাষার জিএলপিটি এন ফাইভ(JLPT N5) কোর্স শেষ করে আপনি জাপানে পড়াশুনা ও চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। সে জন্য প্রাথমিকভাবে ভাষা শেখার কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। আর ভাষা শেখার কোর্সটি শেষ করতে সময় লাগবে তিন থেকে চার মাস। এছাড়া রয়েছে দেড় বছর মেয়াদি অ্যাডভান্স ল্যাংগুয়েজ কোর্স। তবে জিএলপিটি এন ফাইভ শর্ট কোর্সটি করলে চলবে। Daffodil Japan IT তে আপনি এন ৫ কোর্স ও এন ৪ দুইটাই করতে
পারবেন।

#কোথায় ভাষা ও ভিসা প্রসেসিং করানো হয়?
বাংলাদেশে অনেক জাপানিজ ভাষা ইন্সটিউট আছে যেখানে জাপানিজ ভাষা শেখানো হয়। ঢাকা ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল জাপান আইট, জেইউএএবি, ডিআইএল। এদের মধ্যে ড্যাফোডিল জাপান আইটি অন্যতম। ড্যাফোডিল জাপানটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ মার্ক পেয়ে এগিয়ে থাকে প্রতি বছর। এখানে ভিসা প্রোসেসিংও করানো হয়।

#বাসস্থান_সুবিধা

জাপানে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের বসবাসের জন্য চার ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- স্টুডেন্ট ডরমিটরি বা হোস্টেল, স্থানীয় সরকারের বরাদ্দ করা পাবলিক হাউজিং, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার স্টাফ ডরমিটরি এবং ব্যক্তিগত ভাড়া বাসা। জাপানে একজন শিক্ষার্থীর থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বাবদ মাসে ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও যে সব সুবিধা পাবেন
পাঁচ বছর থাকার পর কোন শিক্ষার্থী চাইলে পি আর বা স্থায়ী বসবাস জন্য আবেদন করতে পারবেন
শিক্ষর্থীদের জন্য রয়েছে সপ্তাহে ২৮ ঘন্টা খন্ডকালীন কাজের সুযোগ। সাপ্তাহিক ছুটিরদিনেও কাজ করতে পারবেন তারা
জাপানে প্রতি ঘন্টা খন্ডকালীন কাজ করলে ৯০০ থেকে ১২০০ ইয়েন আয় করা যায়, এবং মাস শেষে যা বাংলাদেশী টাকায় ১ লাখের মতো বা তারও বেশি।
একজন শীক্ষার্থী পড়ালেখা চলাকালীন সময় তার সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও দেশে ৭০ থেকে ৮০ হাজার থেকে টাকা পাঠাতে পারবে। জপান পড়াশুনা ও ক্যারিয়ার গড়ার জন্য শুভ কামনা। সবাইকে ধন্যবাদ।

#ঠিকানাঃ
Daffodil Japan IT LimitedUnion Heights 01, level 8
55-2, West Panthapath, Dhaka.
(Adjacent to Square Hospital)
02-9112280, +8801847140110

Level 3

আমি রাসেল ডিজেআইটি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস