“একটি কিডনি বিক্রি হবে “- আইপ্যাড কিনা এখন মাএ সময় ব্যাপার মাএ :P :P

আমি সে প্রযুক্তি প্রতি সবচেয়ে বেশি ভক্ত তা হলে অ্যাপলের প্রযুক্তি। ।অ্যাপলের আইফোন , আইপড, ম্যাকবুক আমার সবচেয়ে প্রিয়ে প্রযুক্তি পন্য গুলো। হঠাৎ করে আমি অ্যাপল প্রতি ভক্ত বেড়ে যায় আইপ্যাড২ দেখার পর। কি নেই এতে???? এই সম্পকে যত তথ্য আছে সব পড়ে ফেললাম। এমন কি youtube তে যত ভিডিত্ত আছে তাত্ত দেখে ফেলাম । কিন্তু দেখে আমি ক্ষাত না। ডাউনলোডর করে রাখরের আইপ্যাড এই সকল ভিডিত্ত। এবং আমার বাসায় কোন বন্ধু আসলে কিন্তু কেউ আসলেই আমি সুযোগ পেলে তাদের আইপ্যাডের রিভিওগুলো দেখাই। মনে মনে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলি ইর্স যদি কিনতে পারতাম এই আইপ্যাড।সেদিন আইপ্যাড ২ এর রিভিওটা দেখলাম সেদিন তো সারারাত আমি ঘুমাতে পারিনি। ঘুমের মধ্যে আমি আইপ্যাড ২ স্বপ্নে দেখছি।

শুধু ছবি দেখলেই চলবে না একটু এই ভিডিওটি দেখুন।

আমি আইপ্যাডের প্রেমে পড়িগেছি। সারাদিন চোখের সামনে শুধু আইপ্যাড ঘুরতে।  সবাই যখন মোবাইলে কনভার্ট করে ভিডিও গান রাখে আমি রাখি আইপ্যাড রিভিও এর ভিডিও।  কেনার সামর্থ নাই তাই মাঝে মাঝে দেখি। দেখিই শান্তি পাই। মনে ভাবি নাই "আঙ্গুল ফল টক"

সে কারনে এই লিখাটা । আজ এটা খরব পড়ে তো আমি ভীষন অবাক।  খরবের শিরোনাম " আইপ্যাড কিনতে কিডনি বিক্রি করলো চাইনিজ কিশোর!"

চলুন খরবটি বিস্তারিত একটু দেখি আছি।

শখ পূরণ করতে আমরা কত কী-ই না করি। মাসের পর মাস কষ্ট করে টাকা জমাই। দু’বেলার জায়গায় হয়তো কখনো একবেলা খেয়ে থাকি। কখনো আবার উপোসও সময় কাটাই তীব্র কোনো শখ পূরণ করতে বা শখের জিনিস কিনতে। কিন্তু কিডনি বিক্রি করে নিতান্তই শখ পূরণ করার নজির বোধহয় এই প্রথম। সম্প্রতি ১৭ বছর বয়সী এক চীনা কিশোর তার কিডনি বিক্রি করেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলারে কেবল আইপ্যাডের শখ পূরণ করতে।

অবিশ্বাস্য হলেও বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইন্টারনেটে এই ছেলে কিডনি দাতাদের টাকা দেয়ার বিজ্ঞাপন দেখেছে যা মূলত অবৈধভাবে কিডনি বিক্রির বিজ্ঞাপন ছিল। স্থানীয় এক টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐ চাইনিজ ছেলে জানিয়েছে, কিডনি বিক্রি করে দিয়ে সে মোট ৩ হাজার ৩৯২ ডলার পেয়েছে যা দিয়ে সে আইপ্যাড ২ এবং একটি ল্যাপটপ কিনেছে।

ছেলেটির মা জানিয়েছে, কিছুদিন ধরেই তার চাল-চলনে সন্দেহ করেন তিনি। কিন্তু প্রথমে কিছুই বুঝতে না পারলেও একদিন হঠাৎই আইপ্যাড আর ল্যাপটপ এবং ছেলেটির পেটে অপারেশনের ক্ষত দেখতে পেয়ে ছেলেকে চেপে ধরলে সে সব স্বীকার করে নেয়।

বিবিসি জানিয়েছে, এভাবে কিডনি বিক্রি করা চীনে অন্যায় এবং অবৈধ হওয়া সত্ত্বেও দুর্বৃত্তরা নির্বিঘ্নেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এরই প্রমাণ এই ঘটনা।  কিন্তু কেবল তার প্রমাণ নয়, বরং নতুন প্রযুক্তির প্রতি এসময়ের কিশোর-তরুণদের প্রবল ঝোঁকেরও একটি প্রমাণ হিসেবে বলা যায় এই ঘটনাকে।

যাক ছেলেটি দেখে সাহস পাচ্ছি............এখন কিছু প্রশ্ন । একটা কিডনি দিয়েত্ত তো বাচা যায় তাই না। তাহলে আমিত্ত আমার একটা কিডনি বিক্রি করি!!!! :p শখ বলে কথা। কত দিন আর বাচব।....!!!! পড়ে টাকা হয়ে নতুন লাগিয়ে নিব......... আগে এটা আইপ্যাড কিনি।???!!!!

অ্যাপেল প্রতি ভক্ত হত্তয়ার আর একটা কারন হল স্টীব জবস। আমার প্রিয় ব্যাক্তিদের মধ্যে একজন। আমি ব্যাক্তিগত জীবনে ওনার জীবনভক্ত। বিশেষ করে স্টীব জবসের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্যটি আমার ভীষন প্রিয়। এই লেখাটাযে আমি কতবার পড়েছি তার হিসাব নেই। লেখাটি নিচে তুলে দেবার লোভ সামলাতে পারছি না।

আমি আজ একটা লেখা শেয়ার করবো সবার সাথে। এই লেখাটি একটি বক্তব্যের লেখ্যরূপ যে বক্তব্যটি উপস্থাপিত হয়েছিলো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। বক্তব্যটি বেশ পুরোনো। তবে আমার জীবনে শোনা সবচাইতে মুগ্ধকর আর উৎসাহমূলক বক্তব্য। তাই সবার সাথে শেয়ার করে নিতে চাইছি। এই বক্তব্য দিয়েছিলেন স্টিভ জবস। যিনি অ্যাপল এবং পিক্সার অ্যানিমেশন নামক দুইটি সেরা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। বক্তব্য রেখেছিলেন ২০০৫ সালের ১২ জুন। লেখাটির ইংরেজি রূপ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া।

বক্তার জীবনের মতন এত রকম কঠিন সময়, কষ্টকর সময় আর বৈচিত্র্য আমাদের সবার জীবনে থাকেনা। কিন্তু আমাদের জীবনে থাকে অনেক রকম ঘাত-প্রতিঘাত আর সফলতার আকাঙ্ক্ষা। আর তাই সবারই এই লেখাটা পড়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি, ভালো লাগবে আর অনুপ্রাণিত হবেন সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি :)

——–

প্রথমেই একটা সত্য কথা বলে নিই।

আমি কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় পাস করিনি। তাই সমাবর্তন জিনিসটাতেও আমার কখনো কোনো দিন উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। এর চেয়ে বড় সত্য কথা হলো, আজকেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সবচেয়ে কাছে থেকে দেখছি আমি। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। কোনো কথার ফুলঝুরি নয় আজ, স্রেফ তিনটা গল্প বলব আমি তোমাদের। এর বাইরে কিছু নয়।

আমার প্রথম গল্পটি কিছু বিচ্ছিন্ন বিন্দুকে এক সুতায় বেঁধে ফেলার গল্প।

steve-jobs-ceo-apple-nextস্টিভ জবস-- অ্যাপেল কম্পিউটারের প্রতিষ্ঠাতা

ভর্তি হওয়ার ছয় মাসের মাথাতেই রিড কলেজে পড়ালেখায় ক্ষ্যান্ত দিই আমি। যদিও এর পরও সেখানে আমি প্রায় দেড় বছর ছিলাম, কিন্তু সেটাকে পড়ালেখা নিয়ে থাকা বলে না। আচ্ছা, কেন আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লাম?

এর শুরু আসলে আমার জন্মেরও আগে। আমার আসল মা ছিলেন একজন অবিবাহিত তরুণী। তিনি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। আমার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আমাকে এমন কারও কাছে দত্তক দেবেন, যাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি আছে। সিদ্ধান্ত হলো এক আইনজীবী ও তাঁর স্ত্রী আমাকে দত্তক নেবেন। কিন্তু একদম শেষ মুহূর্তে দেখা গেল, ওই দম্পতির কারোরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেই, বিশেষ করে আইনজীবী ভদ্রলোক কখনো হাইস্কুলের গণ্ডিই পেরোতে পারেননি। আমার মা তো আর কাগজপত্রে সই করতে রাজি হন না। অনেক ঘটনার পর ওই দম্পতি প্রতিজ্ঞা করলেন, তাঁরা আমাকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন, তখন মায়ের মন একটু গললো। তিনি কাগজে সই করে আমাকে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন।

এর ১৭ বছর পরের ঘটনা। তাঁরা আমাকে সত্যি সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমি বোকার মতো বেছে নিয়েছিলাম এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়, যার পড়ালেখার খরচ প্রায় তোমাদের এই স্ট্যানফোর্ডের সমান। আমার দরিদ্র মা-বাবার সব জমানো টাকা আমার পড়ালেখার পেছনে চলে যাচ্ছিল। ছয় মাসের মাথাতেই আমি বুঝলাম, এর কোনো মানে হয় না। জীবনে কী করতে চাই, সে ব্যাপারে আমার কোনো ধারণা নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা এ ব্যাপারে কীভাবে সাহায্য করবে, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। অথচ মা-বাবার সারা জীবনের জমানো সব টাকা এই অর্থহীন পড়ালেখার পেছনে আমি ব্যয় করছিলাম। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং মনে হলো যে এবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।

সিদ্ধান্তটা ভয়াবহ মনে হলেও এখন আমি যখন পেছন ফিরে তাকাই, তখন মনে হয়, এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ডিগ্রির জন্য দরকারী কিন্তু আমার অপছন্দের কোর্সগুলো নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারলাম, কোনো বাধ্যবাধকতা থাকল না, আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো খুঁজে নিতে লাগলাম।

পুরো ব্যাপারটিকে কোনোভাবেই রোমান্টিক বলা যাবে না। কারণ তখন আমার কোনো রুম ছিল না, বন্ধুদের রুমের ফ্লোরে ঘুমোতাম। ব্যবহৃত কোকের বোতল ফেরত দিয়ে আমি পাঁচ সেন্ট করে কামাই করতাম, যেটা দিয়ে খাবার কিনতাম। প্রতি রোববার রাতে আমি সাত মাইল হেঁটে হরেকৃষ্ণ মন্দিরে যেতাম শুধু একবেলা ভালো খাবার খাওয়ার জন্য। এটা আমার খুবই ভালো লাগত। এই ভালো লাগাটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

রিড কলেজে সম্ভবত দেশে সেরা ক্যালিগ্রাফি শেখানো হতো সে সময়। ক্যাম্পাসে সাঁটা পোস্টারসহ সবকিছুই করা হতো চমৎকার হাতের লেখা দিয়ে। আমি যেহেতু আর স্বাভাবিক পড়ালেখার মাঝে ছিলাম না, তাই যে কোনো কোর্সই চাইলে নিতে পারতাম। আমি ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেরিফ ও স্যান সেরিফের বিভিন্ন অক্ষরের মধ্যে স্পেস কমানো-বাড়ানো শিখলাম, ভালো টাইপোগ্রাফি কীভাবে করতে হয়, সেটা শিখলাম। ব্যাপারটা ছিল সত্যিই দারুণ সুন্দর, ঐতিহাসিক, বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরের একটা আর্ট। আমি এর মধ্যেই মজা খুঁজে পেলাম।

এ ক্যালিগ্রাফি জিনিসটা কোনো দিন বাস্তবজীবনে আমার কাজে আসবে—এটা কখনো ভাবিনি। কিন্তু ১০ বছর পর আমরা যখন আমাদের প্রথম ম্যাকিনটশ কম্পিউটার (আমরা যাকে ম্যাক বলে চিনি) ডিজাইন করি, তখন এর পুরো ব্যাপারটাই আমার কাজে লাগল। ওটাই ছিল প্রথম কম্পিউটার, যেটায় চমৎকার টাইপোগ্রাফির ব্যবহার ছিল। আমি যদি সেই ক্যালিগ্রাফি কোর্সটা না নিতাম, তাহলে ম্যাক কম্পিউটারে কখনো নানা রকম অক্ষর (টাইপফেইস) এবং আনুপাতিক দূরত্বের অক্ষর থাকত না। আর যেহেতু উইন্ডোজ ম্যাকের এই ফন্ট সরাসরি নকল করেছে, তাই বলা যায়, কোনো কম্পিউটারেই এ ধরনের ফন্ট থাকত না। আমি যদি বিশ্ববিদ্যালয় না ছাড়তাম, তাহলে আমি কখনোই ওই ক্যালিগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হতাম না এবং কম্পিউটারে হয়তো কখনো এত সুন্দর ফন্ট থাকত না। অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে এক সুতায় বাঁধা অসম্ভব ছিল, কিন্তু ১০ বছর পর পেছনে তাকালে এটা ছিল খুবই পরিষ্কার একটা বিষয়।

আবার তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।

আমার দ্বিতীয় গল্পটি ভালোবাসা আর হারানোর গল্প।

আমি খুব ভাগ্যবান ছিলাম। কারণ, জীবনের শুরুতেই আমি যা করতে ভালোবাসি, তা খুঁজে পেয়েছিলাম।

আমার বয়স যখন ২০, তখন আমি আর ওজ দুজনে মিলে আমাদের বাড়ির গ্যারেজে অ্যাপল কোম্পানি শুরু করেছিলাম। আমরা পরিশ্রম করেছিলাম ফাটাফাটি, তাই তো দুজনের সেই কোম্পানি ১০ বছরের মাথায় চার হাজার কর্মচারীর দুই বিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে পরিণত হয়। আমার বয়স যখন ৩০, তখন আমরা আমাদের সেরা কম্পিউটার ম্যাকিন্টোস বাজারে ছেড়েছি। এর ঠিক এক বছর পরের ঘটনা। আমি অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুত হই। যে কোম্পানির মালিক তুমি নিজে, সেই কোম্পানি থেকে কীভাবে তোমার চাকরি চলে যায়? মজার হলেও আমার ক্ষেত্রে সেটা ঘটেছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপল যখন বড় হতে লাগল, তখন কোম্পানিটি ভালোভাবে চালানোর জন্য এমন একজনকে নিয়োগ দিলাম, যে আমার সঙ্গে কাজ করবে। এক বছর ঠিকঠাকমতো কাটলেও এর পর থেকে তার সঙ্গে আমার মতের অমিল হতে শুরু করল। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তার পক্ষ নিলে আমি অ্যাপল থেকে বহিষ্কৃত হলাম। এবং সেটা ছিল খুব ঢাকঢোল পিটিয়েই। তোমরা বুঝতেই পারছ, ঘটনাটা আমার জন্য কেমন হতাশাজনক ছিল। আমি সারা জীবন যে জিনিসটার পেছনে খেটেছি, সেটাই আর আমার রইল না।

সত্যিই এর পরের কয়েক মাস আমি প্রচন্ড দিশেহারা অবস্থায় ছিলাম। আমি ডেভিড প্যাকার্ড ও বব নয়েসের সঙ্গে দেখা করে পুরো ব্যাপারটার জন্য ক্ষমা চাইলাম। আমাকে তখন সবাই চিনত, তাই এই চাপ আমি আর নিতে পারছিলাম না। মনে হতো, ভ্যালি ছেড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সেই সঙ্গে আরেকটা জিনিস আমি বুঝতে পারলাম, আমি যা করছিলাম, সেটাই আমি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। চাকরিচ্যুতির কারণে কাজের প্রতি আমার ভালোবাসা এক বিন্দুও কমেনি। তাই আমি আবার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম।

প্রথমে মনে না হলেও পরে আবিষ্কার করলাম, অ্যাপল থেকে চাকরিচ্যুতিটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো ঘটনা। আমি অনেকটা নির্ভার হয়ে গেলাম, কোনো চাপ নেই, সফল হওয়ার জন্য বাড়াবাড়ি রকমের কৌশল নিয়ে ভাবার অবকাশ নেই। আমি প্রবেশ করলাম আমার জীবনের সবচেয়ে সৃজনশীল অংশে।

পরবর্তী পাঁচ বছরে নেক্সট ও পিক্সার নামের দুটো কোম্পানি শুরু করি আমি, আর প্রেমে পড়ি এক অসাধারণ মেয়ের, যাকে পরে বিয়ে করি। পিক্সার থেকে আমরা পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার অ্যানিমেশন ছবি টয় স্টোরি তৈরি করি। আর এখন তো পিক্সারকে সবাই চেনে। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল অ্যানিমেশন স্টুডিও। এরপর ঘটে কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। অ্যাপল নেক্সটকে কিনে নেয় এবং আমি অ্যাপলে ফিরে আসি। আর লরেনের সঙ্গে চলতে থাকে আমার চমত্কার সংসার জীবন।

আমি মোটামুটি নিশ্চিত, এগুলোর কিছুই ঘটত না, যদি না অ্যাপল থেকে আমি চাকরিচ্যুত হতাম।

এটা আমার জন্য খুব বাজে আর তেতো হলেও দরকারি একটা ওষুধ ছিল। কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম।

তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।

আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু।

আমার বয়স যখন ১৭ ছিল, তখন আমি একটা উদ্ধৃতি পড়েছিলাম—‘তুমি যদি প্রতিটি দিনকেই তোমার জীবনের শেষ দিন ভাব, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সত্যিই সঠিক হবে।’ এ কথাটা আমার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল এবং সেই থেকে গত ৩৩ বছর আমি প্রতিদিন সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—আজ যদি আমার জীবনের শেষ দিন হতো, তাহলে আমি কি যা যা করতে যাচ্ছি, আজ তা-ই করতাম, নাকি অন্য কিছু করতাম? যখনই এ প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে কয়েক দিন ‘না’ হতো, আমি বুঝতাম, আমার কিছু একটা পরিবর্তন করতে হবে।

পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাৎ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে। তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ। তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?

প্রায় এক বছর আগের এক সকালে আমার ক্যানসার ধরা পড়ে। ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, এর থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই আমার। প্রায় নিশ্চিতভাবে অনারোগ্য এই ক্যানসারের কারণে তাঁরা আমার আয়ু বেঁধে দিলেন তিন থেকে ছয় মাস। উপদেশ দিলেন বাসায় ফিরে যেতে। যেটার সোজাসাপটা মানে দাঁড়ায়, বাসায় গিয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। এমনভাবে জিনিসটাকে ম্যানেজ করো, যাতে পরিবারের সবার জন্য বিষয়টা যথাসম্ভব কম বেদনাদায়ক হয়।

সারা দিন পর সন্ধ্যায় আমার একটা বায়োপসি হলো। তাঁরা আমার গলার ভেতর দিয়ে একটা এন্ডোস্কোপ নামিয়ে দিয়ে পেটের ভেতর দিয়ে গিয়ে টিউমার থেকে সুঁই দিয়ে কিছু কোষ নিয়ে এলেন। আমাকে অজ্ঞান করে রেখেছিলেন, তাই কিছুই দেখিনি। কিন্তু আমার স্ত্রী পরে আমাকে বলেছিল, চিকিৎসকেরা যখন এন্ডোস্কোপি থেকে পাওয়া কোষগুলো মাইক্রোস্কোপের নিচে রেখে পরীক্ষা করা শুরু করলেন, তখন তাঁরা কাঁদতে শুরু করেছিলেন। কারণ, আমার ক্যানসার এখন যে অবস্থায় আছে, তা সার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। আমার সেই সার্জারি হয়েছিল এবং দেখতেই পাচ্ছ, এখন আমি সুস্থ।

কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য। এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি। এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট। মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।

তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাৎ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট করো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।

আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল। এটা বের করতেন স্টুয়ার্ড ব্র্যান্ড নামের এক ভদ্রলোক। তিনি তাঁর কবিত্ব দিয়ে পত্রিকাটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।

স্টুয়ার্ট ও তাঁর টিম পত্রিকাটির অনেক সংখ্যা বের করেছিল। সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, আমার বয়স যখন ঠিক তোমাদের বয়সের কাছাকাছি, তখন পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল— ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো । এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা– “ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো”।

আমি নিজেও সব সময় এটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। আজ তোমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছেড়ে আরও বড়, নতুন একটা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।

Stay Hungry. Stay Foolish.

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

তোমাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

— —

পরিশেষে বলা যায় - অ্যাপল আরত্ত কত কিছুদেখাবে। সত্যি স্যালুট অ্যাপলকে।কিন্ত দাম এত বেশি হত্তয়ার স্যালুট দিতে কষ্ট হচ্ছে।আর কবে বাংলাদেশে অ্যাপলের শোরুম আসবে.......??

সহায়ক:

১. উৎস ১

২. উৎস ২

৩.উৎস৩

Level 0

আমি তুসিন আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 49 টি টিউন ও 555 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি তুসিন আহমেদ । আমার ব্লগ http://tusin.wordpress.com/ফেইসবুকে আমি facebook.com/tusin.ahmed and yahoo তে [email protected]


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

একটা কিডনি বিক্রি করমু একখান আইপ্যাড কিনার জন্য কারও লাগলে জানাইবেন…………..

অসাধারন লিখেছেন ভাই।

আমার শেষ গল্পটির বিষয় মৃত্যু। এই অংশটুকু অসাধারন হয়েছে। কেন যে ভাই এরা এতো বড় সপ্ন দেখায়।

আমরাও সপ্নের ঘুড়ি উড়াই।কিন্তু আমাদের ঘুড়ির সুতো যে মাঝপথে ছিড়ে যায়। জানিনা সে ঘুড়ি কখনও খুজে পাব কিনা। হয়ত খুজে পাব কোন এক সময় যখন এই ঘুড়ির কোন দাম থাকবে না।

sorry। বেশি বক বক করে ফেললাম। আপনার স্টিভ জবস এর part টুকু অনেক সুন্দর হয়েছে।ভাল থাকবেন।

    ধন্যবাদ সাবিহা আপু
    আপু আপনিত্ত খুব ভাল লিখেন। আপনা অফিস এর ধারাবাহিক টিউনটি সু্ন্দর হচ্ছে। পড়ি কিন্তু সময়ের অভাবে মন্তব্য দিতে পারি না।
    ভাল থাকুন……..

বাংলাদেশে ৫-৬টা এ্যাপেলের অথোরাইজড শোরুম আছে!

Level 0

এক কথায় অসাধারণ লেগেছে । ধন্যবাদ ভাই ।

    আপনাকেত্ত অসাধারন ধন্যবাদ মন্তব্য দেত্তয়ার জন্য

হে বিধি আমাকে কথা বলার শক্তি দাও আমি যে নির্বাক হয়ে গেছি। অসাধারণ হয়েছে স্টিভ জবস এর অংশটুকু।
সবার শখ ও স্বপ্ন নাকি বিধাতা পূরণ করে থাকে তা আজ হোক অথবা কাল। যার প্রমাণ আমি নিজে। পবিত্র কোরআন শরীফে আছে- তুমি নিরাশ হইওনা তুমি যদি মুমিন হও অবশ্যই তুমি জয়ী হবে। তাই কারো শখ, স্বপ্ন, নিয়্যত যদি সঠিক হয় আল্লাহ তা পূরন করেন। ধৈর্য্য ধরেন আপনি আপনার শখ হয়তো অচিরেই পূরণ করতে পারবেন। আল্লাহ আপনার শখকে ‍বাস্তবায়ন করুক। দোয়া করি।

    আমিন………আল্লাহ যেন আপনার দোয়া কবুল করুন…………..
    খুব ভাল লেগেছে রিজভী ভাই আপনার মন্তব্যটি……..
    ভাল থাকবেন……..

ভাই কি শুনাইলেন আবার মাথার ভুত ছড়াইয়া দিলেন যতই ভুলতে চাই এই আই প্যাড টারে ভুলতে পারি না । এখন চায়না একটা ট্যাবলেট পিসি কিনা দুধের স্বাধ ঘোলে মিটাইতে হইব ।

    আপনের দেখি আমার মত অবস্থা । আপনিত্ত দেখি আইপ্যাডের প্রেম পড়েছেন………রাজিব ভাই………
    চায়না ট্যাবল কত নিল???? কনফিগারেশন কি??? জানান…….

    ভাই আমি কিনি নাই চরম কনফিউশন এ আছি কি যে করবো । কারো কাছে থেকে কোন ধারনা পাই নি বলে ভয় লাগে । ক্লিক বিডি তে কিছু এন্ড্রয়েড ট্যাবলেট পিসি দেখলাম ১০,০০০-১৫,০০০ টাকার মধ্যে তবে কেমন হবে সেইটা বুঝে উঠতে পারছি না । আবার এক ভাই এর কাছে শুনলাম আমাদের দেশে নাকি সনির পিডিএফ রিডার পাওয়া যায় এখন ইনফরমেশন কালেক্ট করতেছি ।

যদিও আমার অনেক ইচ্ছা অ্যাপলের পন্য নেওয়ার। কিন্তু….
আল্লাহর গিফটের জিনিস দিয়া নিজের শখ পূরণ করা ইচ্ছা নাই।

প্রযুক্তির প্রতি যে এত ভালবাসা। এই টা না পড়লে জানতে পারতাম না।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Level 0

ধন্যবাদ ভাইজান, আমিও iPAD কে ভয়াবহ রকম ভালবাসি। সামর্থ না থাকায় একটা চাইনিজ iPAD কিনেছি IDB থেকে (9,300 টাকা) 5/6 মাস আগে। একটু Slow হলেও কিন্তু ফাটাফাটি। আমি মূলত eBook Reader হিসেবে ই Use করি। প্রতিদিন অন্তত 4/6 ঘন্টা বই না পড়লে আমার পেটের ভাত হজম হয় না। আমার কাছে মোট 3.35GB (1132 টা ) eBook রয়েছে।

আমার মত অতিরিক্ত আগ্রহ থাকলে আপাতত এইটা কিনে Use করতে পারেন।

    ভাই এর মেইল আইডি টা কি দেওয়া যাবে কিছু কথা ছিল এই ব্যাপারে ।

    triple ভাই আপনার সাথে এই ব্যাপারে কথা আছে। কেমন সভিস দিচ্ছে। আর জায়গা কতটুকু। কি কি করা যায়??? কনফিগারেশনটা একটু বলেন???
    মেইল করে আমার ফেইসবুকে। টিউনের উপর দেত্তয়া আছে। এখানে দিতাম কিন্তু টিটি নীতিমালা এটা নিষধ……..

    Level 0

    Model no:- WMT 2.1_88
    Android Operating System 1.6
    Internal space 2 GB,
    Support MicroSD 16 GB [ আমি 8GB use করছি ]
    Audio, Video, Office, PDF, Notepad, VGA Camera, Game সহ আরও যে কত কি আছে আমি বলতে পারব না। মাঝে মাঝে দাবা খেলি আর আমি মূলত বই পড়ি। eBook Reader গুলো কিন্তু PDF support করে না। সেগুলো support করে সুধুমাত্র ePUB.
    Wi-fi, 3g, Ethernet [ আমি Laptop থেকে Cross cable লাগিয়ে Ethernet এর মাধ্যমে net use করি; iConnect নামক Company তে আমার এক Friend চাকরি করে, ঐটা Wi-fi. আমি তার ID দিয়েও net use করেছি ]
    একটা বিরাট সমস্যা আছে, Battery এর Charge থাকে মাত্র দুই ঘন্টা।

    তবে আমার কাছে এক কথায় অপুর্ব। যেখানে Original টার দাম ছিলো সেদিন 74,000 টাকা ; সেখানে মাত্র 9300 টাকায় এটা যে সার্ভিস দিচ্ছে তাতে আমার মতে আমি 37,000 টাকা [50%] মূল্যের সার্ভিস পাচ্ছি। একটু Slow এই যা, আমি সন্তুষ্ট।
    ছবি দেখতে http://www.google.com/search?hl=en&biw=1195&bih=608&tbm=isch&aq=f&aqi=&oq=&q=wmt2.1_88

    [email protected]

দুনিয়াতে অনেক পাগল ছাগলই আছে। এটা ভুলে গেলে চলবে না।

    হুমমম কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানেন আরিফ ভাই।
    "সব প্রতিভার মাঝে কিন্তু পাগলামো থাকে"
    কিন্তু ভবের পাগল আমার ভাল না
    ধন্যবাদ মন্তব্য দেত্তয়া জন্য

Level 0

কিডনি বিক্রি করে আইপ্যাড কেনা,একে প্রযুক্তির প্রতি ভালবাসা বলে না , এটি স্রেফ পাগলামি ছাড়া কিছুই না । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

Dhonobad , valo caliya jan.

Very nice post. thanks

Level 0

আসলে I-pad , I-pad2 এর দাম প্রচন্ড বেশি।এত দাম রাখার প্রয়োজনটা কি সেটা ও বুঝতেছিনা। আমার মনে হয় আই প্যাড এর চেয়ে acer iconia tab a500 , Motorola Xoom অনেক বেশি ভালো।Acer এর দাম বেশ কিছু কম আছে।এছাড়া বিশেষ সুবিধা হল এই দুটি প্যাড এ Android Operating Software ! ….আর বর্তমানে Android অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

কি সুন্দর iPAD…

কিন্তু কিডনী নাকি iPad? থাক আপাতত কিডনীই থাক…

Level 0

"তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ। আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে। যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো। অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।"

লাইন গুলো অসাধারন ।ধন্যবাদ নাজমুল তোমাকে…

    আসলে সুন্দর……
    ধন্যবাদটা কাকে দিলেন..???
    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

কিনতে ইচ্ছা করে না। হাইস্পীড ইন্টারনেট দরকার যেভাবেই হোক।

    হুমম ঠিক বলেছ মাসপি……………হাইস্পীড নেট দরকার……….আইপ্যাডে জন্য দরকার wifi………

Level 0

ভাইয়া প্লাস নেন।

Level 0

আমি একটা ব্যাবহার করি… আইপ্যাডকে আমি মোবাইল এবং ল্যাপটপ এর মধ্যের একটা জিনিস বলে মনে করি………. এটা কখন ও ল্যাপটপের পরিপুরক হতে পারে না…….। তাছাড়া বাংলাদেশে আইপ্যাড ব্যাবহার করলে আসল এর মজা পাবেন না। একটি ফ্রী আ্যপস সেটাপ দিতে ও মাস্টার অথবা ভিসা কার্ডের ইনফরমেশন লাগে……….।

আপনার কিডনি বিক্রি করতে চান Mercyside স্পেশালিটি হাসপাতাল আজ। আমরা একটি দ্রুত এবং সফল চিকিৎসা অপারেশন চালানোর জন্য আমাদের উপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস সঙ্গে $ 250.000.00 একটি মূল্যে কিনতে প্রস্তাব। মনে রাখবেন আমরা এই লেনদেনের জন্য ধূমপায়ীদের এবং অ স্বাস্থ্যকর দাতা গ্রহণ করি না এবং আরো অনুসন্ধানের জন্য দয়া করে ইমেলের মাধ্যমে ডাঃ ফ্রান্সিস বেলের সাথে যোগাযোগ করুন: [email protected] বা হোয়াটসঅ্যাপ: +1 (480) 616 0251