প্রযুক্তিঃ বাংলাদেশ এবং বিশ্ব ইতিহাস। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এক নতুন আবিষ্কার যোগাযোগ এবং প্রযুক্তি!! (একটি গবেষণাধর্মী টিউন)

হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটি, কেমন আছেন সবাই? প্রযুক্তির বেড়াজালে আমরা আজ হারিয়ে যেতে বসেছি টেকটিউনসের সাথে। আমরা বিশ্ব প্রযুক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা করি, কিন্তু বাংলাদেশের প্রযুক্তির হালচাল কেমন জানার দরকার আছে কিনা? তাই আমার আজকের টিউন বাংলাদেশ বিশ্ব প্রযুক্তির সাথে কীভাবে আগাচ্ছে ঠিক সেই রকমই নিয়ে। আসুন তাহলে বাংলাদেশ এবং বিশ্ব প্রযুক্তির সাথে হারিয়ে যেতে থাকি!!  😉

টেলিযোগাযোগ হলো নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ক্যাবল, টেলিগ্রাফ, টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করাকে বুঝায়। একটি একক টেলিযোগাযোগ সিস্টেমে দুইটি স্টেশন থাকে, যেখানে উভয় পাশে একটি ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার থাকে। ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার সম্মিলিতভাবে যে ডিভাইসে থাকে সেটাকে ট্রান্সরিসিভার বলা হয়। ইলেকট্রিক তার, ক্যাবল, অপটিক্যাল ফাইবার বা তারহীন মাধ্যমেও এই যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।

যে পদ্ধতিতে কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে অসংখ্য তথ্য স্টোর করা হয়, প্রক্রিয়া করা হয়, পাঠানো হয় এবং গ্রহন করা হয় সেটাই তথ্য প্রযুক্তি। কম্পিউটার এবং টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে এই যোগাযোগ স্থাপন করার যে অভিনব সব সিস্টেম সেটাকে তথ্য প্রযুক্তি বলা হয়। টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি এক সুত্রে গাঁথা।  👿

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি-  

১৯০৮ সালের দিকে “গুলিয়েলমো মার্কোনি” রেডিও আবিস্কারের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগের প্রতিষ্ঠা লাভ। সেই থেকে নিত্য নতুন আবিষ্কার বিশ্ব টেলিযোগাযোগকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বহুল অংশে। আর তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আমাদের দিয়েছে বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনার এক অভিনব বিপ্লব। টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়ন আজ এতো দূরে চলে গেছে যে সেটা আমাদের ধারণার বাইরে।

বিশ্ব যে কতো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তা আমরা কল্পনায় করতে পারবো না। পূরা বিশ্ব আজ এক হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এখান থেকে দশ বছর আগে যা ছিল কল্পনা বা আমরা কল্পনাতেও আনতে ভয় পেতাম আজ তা আমাদের হাতের নাগালে। ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমের মধ্যেও আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে যাচ্ছি। বিশ্ব আজ একটা বিশাল গ্রাম যা গ্লোবাল ভিলেজ নামে পরিচিত। এখান থেকে কয়েক দশক আগে যে কাজ আমরা কয়েক দিন ধরে করেও শেষ করতে কষ্ট হয়ে যেতো আজ আমরা সেটা সেকেন্ডের ভেতর করে ফেলছি অনায়াসে।

আজকের ভার্চুয়াল জগত এতোটা উৎকর্ষ যে আমাদের কল্পনাকেও হার মানাবে। ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির মাধ্যমে আজ আমরা দূরের কাজ ঘরে বসে সমাধান দিচ্ছি কীভাবে? এটা কি আদৌ সম্ভব ছিল টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তিতে নানাবিধ উন্নয়ন ছাড়া।

আমরা কি ভাবতে পারি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা পূরা বিশ্ব একটা ছোট ঘরে বসে নিয়ন্ত্রণ করি।নিউইয়র্কের একটি বিশ্ববিদ্যালের এক গবেষকের আবিষ্কার আমরা গনমানুষ সেটা মুহূর্তের মধ্যে এক ক্লিকের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছি। স্বপ্ন আজ মানুষের মহাবিশ্ব জয় করার। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে এগিয়ে যাচ্ছে সকল সেক্টরে উন্নয়ন কাঠামো। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে আজ টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তি ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায়।

টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ-

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের সূচনা ১৯৮৯ সালে ইন্টার এলিয়া (inter alia) সেলুলার মোবাইল সেবার মাধ্যমে। যদিও প্রযুক্তির শুরু এর অনেক আগে থেকেই সেই ১৯৬০ সালে বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণাগারে কম্পিউটার যাত্রার মধ্য দিয়ে। তারপর বাংলাদেশের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন কম্পিউটার সাইন্স পড়ানো হয়।

তারপর ১৯৮০ সালের পর থেকে পার্সোনাল কম্পিউটার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব মূল বিপ্লব শুরু হয়। ১৯৮৩ সালে স্বতন্ত্র তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব আরও এগিয়ে যেতে শুরু করে।

তারপর অনেকটা সময় পরে ১৯৯৭ সালে জাতীয় সফটওয়্যার খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বেসিস Bangladesh Association of Software and Information Services (BASIS)  এর প্রতিষ্ঠা। তারপর ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি খাত।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপনা ঘোষণার পর থেকে আরও সুসংবাদ চলে আসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২০১৭ সালের মধ্যে অবমুক্ত হওয়ার কথা)। মোবাইল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এতো সম্ভাবনাময় যে এটা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতে দিয়েছে নতুন এক সূচনা। যা মুহূর্তেই বাংলাদেশকে কয়েক দশক এগিয়ে দিছে।

প্রযুক্তি কেন বাংলাদেশের উন্নয়নের হাতিয়ার-  

বাংলাদেশ অনেক দ্রুত প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তির এক বিশাল উন্নয়নের হাতিয়ার। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। সেহেতু বাংলাদেশ যদি প্রযুক্তিতে আরও বেশি এগিয়ে যায় তাহলে সেসবের সঠিক ব্যবহার হবে অনেক দ্রুত। ফলে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সমৃদ্ধ একটি দেশ।

তথ্য প্রযুক্তি কীভাবে বাংলাদেশকে নতুন সম্ভাবনা এবং উদ্ভাবনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে-

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের সিংহভাগ অর্থনীতি এই কৃষির উপর নির্ভরশীল। সেহেতু বাংলাদেশ যদি কৃষিতে আরও বেশি উন্নত হতে পারে তাহলে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ খুব দ্রুত মাথা তুলে দাঁড়াবে।

আজ বাংলাদেশ সেই ক্ষেত্রে অনেক বেশি সফল। বাংলার কৃষককে এক জায়গায় করার মহান প্রচেষ্টা আজ বাংলাদেশ করতে সক্ষম। “কৃষি কল সেন্টারের” মাধ্যমে কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহ পরামর্শ দেওয়ার মতো কাজ শুধুমাত্র 16123 নাম্বারে ডায়ালের মাধ্যমে জাতীয় কৃষি বাতায়ন করছে। সাথে কৃষি কথা ডট কমে কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা মেটাচ্ছেন সাথে সাথে। যেটা কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। তাছাড়া উন্নত জাতের বীজ তৈরিতেও বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যাপক উৎকর্ষতা আছে। কৃষি তথ্য সেবা পাওয়া যায় 27676 এর মাধ্যমে।

মৎস্য চাষে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন এবং সাথে সাথে পাট এবং বস্ত্র শিল্পেও আজ প্রযুক্তি নানাভাবে বাংলাদেশকে অবদান রেখে চলেছে।

বিশ্ব প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ আজ তৈরি করছে নতুন নতুন সুবিধা সম্বলিত ব্যবহার বান্ধব কৃষি উপকরণ, যা কৃষির উন্নতিতে আমাদের দিচ্ছে ব্যাপক সমৃদ্ধি। প্রযুক্তি সম্পন্ন পানি সেচ, সার, হাইব্রিড চাষ পদ্ধতিতে আজ বাংলাদেশ অনেক বেশি এগিয়ে। আগে যেখানে ২০ কেজি শস্য উৎপাদন হতো আজ সেখানে একই জায়গায় ডাবলের বেশি শস্য ঘরে নিচ্ছেন কৃষক এই প্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য। আর টেলিযোগাযোগের উন্নতির আগে কৃষক তার সমাধান যেখানে জানানোরই জায়গা পেতেন না, সেখানে সেই কৃষক মোবাইলের মাধ্যমেই নিমিষেই তার সকল সমস্যার সমাধান নিচ্ছেন টেলিযোগাযোগের উন্নতির ফলে। টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে কৃষকের মুখে আজ হাসি আর বাংলাদেশ বিশ্বে দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে, স্বাবলম্বী হচ্ছে।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রযুক্তির সাথে সাথে এতো বেশি এগিয়ে গেছে যে এখন অকাল মৃত্যুর হার অনেক বেশি কমে গেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উপকরণ আজ বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে, ফলে আমাদের আর বিদেশী চিকিৎসার উপর নির্ভর করতে হয় না। মোবাইল স্বাস্থ্য সেবা, অনলাইন স্বাস্থ্য সেবা যেটা টেলিযোগাযোগের উৎকর্ষতা ছাড়া সম্ভব ছিল না, আজকে আমরা সেটা হাতের নাগালেই পাচ্ছি। রাত দিন ২৪ ঘণ্টা আমাদের জন্য নিয়োজিত “আমাদের ডাক্তার” বা MHealth এসব সেবা আমাদের ভোগান্তি এবং অকাল মৃত্যুর হাত থেকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে যেখানে এক সময় লাইনের পর লাইনে দাঁড়িয়েও ভর্তি ফর্ম বা ফলাফল নেওয়া যেতো না। আজ সেখানে মোবাইলের মাধ্যমে সারা দেশে এক যোগে মুহূর্তের মধ্যে ফর্ম উঠানো, ফলাফল নেওয়া থেকে শুরু করে আরও সেবা এখন মানুষের হাতের নাগালে। যেটা আমাদের ভোগান্তির সাথে সাথে সময়ও বাঁচিয়ে দিয়েছে। যেখানে রাজধানী ঢাকা ছাড়া কোন শিক্ষা সেবা সাধারণ মানুষের পাওয়া সম্ভব ছিল না সেখানে আজ মোবাইল এবং অনলাইনে ঘরে বসেই সকল শিক্ষা সেবা পাওয়া যায়। ছাত্ররা এখন অনেক বেশি নিচ্চিন্ত সেই সাথে অভিভাবকও।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় আজ আমুল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় এই টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে। যেখানে পরিচিত কারও মৃত্যুর সংবাদ আমাদের ২-৩ দিন পরে নিতে হতো সেখানে আজ সেকেন্ডের ভেতর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া যায়। সবাই এখন মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সাথে এতো বেশি সম্পৃক্ত হতে পেরেছে যে আজ মানুষ এগুলো ছাড়া নিজেদের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারে না। সমগ্র বিশ্বে আজ যোগাযোগ করা যায় কম খরচে এবং যখনি ইচ্ছা। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া এতো আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার কখনও সম্ভব ছিল না।

কর্মক্ষেত্র যেখানে আগে পেপার কাগজে ভর্তি থাকতো। এখন সেটা সম্পূর্ণ কম্পিউটার বেজড। মানুষের চাহিদা এখন মুহূর্তের মধ্যে মানুষকে দেওয়া যায়। সেই সাথে অনেকক্ষন নিজের প্রয়োজনীয় কাজ ফেলে দাঁড়িয়ে থাকার ভোগান্তি নেই।

প্রযুক্তি এবং টেলিযোগাযোগে উন্নয়নের ফলে আজ আমাদের জন জীবন হয়ে উঠেছে খুব বেশি প্রোডাক্টিভ। ত্রিশটিরও বেশি দেশে এখন সফটওয়্যার রপ্তানিতে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে। যেটা আমাদের দিচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি।

বাংলাদেশে এখন অনলাইন পেশাজীবীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে প্রযুক্তির অনুকূল পরিবেশ এবং বাংলাদেশ সরকারের নানাবিধ সুযোগের কারণে এটি করা সম্ভব হয়েছে। এই সব অনলাইন পেশাজীবী কর মুক্তভাবে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছেন। যেটা বাংলাদেশ অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হয়ে উঠেছে। সাথে সাথে হাজার হাজার তরুন যুবক অনলাইন পেশায় এসে আরও বেশি নিজের বিকাশ সাধন করছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তথ্য সেবা আজ সবার হাতের নাগালে এই টেলিযোগাযোগ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে। এখন কোন কিছু জানতে হলেই আমরা তথ্য নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটে বসে যায়। আরও বেশি সুযোগ দিছে আমাদের মোবাইল ইন্টারনেটের কারণে। যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই মোবাইলে ইন্টারনেট ওপেন করেই এক ক্লিকের মাধ্যমে সকল প্রয়োজন হাতের মধ্যে।

মোবাইল ব্যাংকিং এ অর্থ লেনদেন বাংলাদেশে অর্থ লেনদেন সেবায় এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যখনি প্রয়োজন তখনই লেনদেন।

সরকারি সকল সেবা এবং ব্যাংক এখন অনলাইন নির্ভর। সেহেতু একাউন্ট খোলা থেকে অভিযোগ, কাস্টোমার সাপোর্ট এখন আপনার হাতের মুঠোয়। যখনি দরকার রাতে কিংবা দিনে আপনি পেয়ে যাবেন সকল সেবা। সরকারি সকল সেবা অনলাইন নির্ভর হওয়ায় আপনাকে আর দিনের পর দিন কোন জরুরী কাজ আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সরকার “ই-তথ্য সেবার” মাধ্যমে মানুষের সামনেই উপস্থাপন করে দিচ্ছে সকল তথ্য এবং সেবা। সেখান থেকে আপনার সকল সেবা আপনি সহজে নিতে পারবেন কোন অতিরিক্ত মানুসিক চিন্তা এবং ভোগান্তি ছাড়া।

প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সুদূর প্রসারী ভূমিকা-

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সব ভূমিকা রেখে চলেছেন। সহজ শর্ত এবং আইন বাংলাদেশে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান এবং সেবা তৈরি হতে সুযোগ পাচ্ছে। প্রযুক্তি পণ্যের উপর কর মুক্ত করায় এবং কিছু কিছু পণ্যে নামমাত্র কর রাখায় নতুন নতুন পণ্য বাংলাদেশের মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে চলে আসছে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে।

সভা-সেমিনার এবং মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করে প্রত্যেকটি নাগরিককে টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি আয়তায় নিয়ে আসার বিভিন্ন পরিকল্পনা সরকার নিয়ে যাচ্ছে তার সুদূর প্রসারী উদ্যোগ “ডিজিটাল বাংলাদেশ” গড়ে তোলার লক্ষ্যে। টুয়েন্টি-টুয়েন্টি “Twenty 20”  লক্ষ্য মাত্রার মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এই মহান প্রয়াস সরকার না নিলে বাংলাদেশ কয়েক দশক পিছিয়ে থাকতো বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তিতে।

আসুন তাহলে আমরা সবাই উদ্ভাবনে শরীক হইঃ 

টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি একটি দেশের উন্নয়নের এক মাত্র হাতিয়ার। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে নতুন সব উদ্ভাবনের এক মাত্র চালিকা শক্তি হবে টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি খাত। দেশ যতো বেশি তথ্য প্রযুক্তির আয়তায় আসবে ততো বেশি এগিয়ে যাবে নতুন উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। নতুন নতুন সৃষ্টিশীল আবিষ্কার দেশকে নিয়ে যাবে অন্য উচ্চতায়। আর এতো সব বাংলাদেশে সম্ভব এক মাত্র টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তির আরও বেশি উন্নয়ন এবং সুযোগের মাধ্যমে। যেদিন প্রত্যেকটি মানুষ প্রযুক্তির ছায়া তলে চলে আসবে সেদিন এই দেশ অন্য উন্নত দেশের সাথে সব দিকে প্রতিযোগিতা করবে।  👿

বাংলাদেশ প্রযুক্তি নিয়ে অনেক কনসেপ্ট ক্লিয়ার হবে আশা করি। কোন জিজ্ঞাসা থাকলে টিউমেন্টে জানাতে পারেন। টিউনটি আমার একটি গবেষণাধর্মী লেখা, কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে আপনাদের জানার জন্য টিউন আকারে দেওয়া।

কোন এক্সট্রা তথ্য থাকলে আমাকে দিতে ভুলবেন না। দেখা হবে পরবর্তী টিউনে।

ধন্যবাদ সবাইকে।  🙄

Level 2

আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

যথেস্ট তথ্য সমৃদ্ধ টিউন। বিষয়গুলো অগোছালোভাবে জানতে গুছিয়ে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

এক কথাই খুব ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ।

সুন্দর টিউন । ধন্যবাদ । (y) 😀

Osadharon Lekha hoice. Thanks.

puri awsm topu vi

ভাই আপনি সবসময় ভালো লিখেন , আমার আপনার লিখা ভালো লাগে…

Nice Post

Boraborer Motoi Oshadharon Tune…!! Apnar Kono Tune E Miss Kori Na.. Jai Hok.. Thanks A Lot Man… 🙂