অপারেটিং সিস্টেম, ইমেজ ডিস্ক, পিসি ম্যাইনটেন্যান্স, ওয়েব ব্রাউজার ও ডাউনলোড ম্যানেজার নিয়ে আমার পার্সোনাল এক্সপেরিএন্স। আপনারও কাজে লাগতে পারে

১০০% মিস, খেয়ে ফেলবো, একবার দেখেন, কোটি কোটি টাকা ঘুরতেসে, উইরা গেল সোনার হরিন, পেয়ে গেছি অমৃত এমন কথা আমি বলবো না। অনেক দিন পর একটা টিউন করতে ইচ্ছা হল তাই করে ফেললাম। হয়তো আপনাদের কাজে লাগতে পারে। আজ আমি কিছু সমস্যা, কিছু কনফিউশন, কিছু দরকারি এবং কিছু সাধারন বা অসাধারন (যাদের মনে হবে) বিষয় নিয়ে কথা বলব। যার থেকে অনেকে অনেক কিছু পাবেন, যারা জানেন এবার তারা খাবেন বা অনেকে কিছু জানবেন আমাকেও কিছু জানাবেন। তো শুরু করা যাক ডেটল দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে ফেলি।

আমি টেকটিউনে প্রায়ই দেখি অনেক ইউজাররা নানান ধরনের কনফিউশনে ভুগে বা অনেকে অনেক কিছু জানে না বা বুঝে না। কিন্তু প্রতিটা ব্যাপার নিয়ে আলাদা আলাদা টিউন না করে একটাই করা উত্তম।

প্রথমেই বলবো ওএস বা অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে

যেসব ইউজাররা প্রবলেমে পরেন ওএস নিয়ে তাদের জন্য কোনটা ভাল হবে? উইন্ডোজ এক্সপি এর বেপারটাই দেখি উইন্ডোজ এক্সপি উইন্ডোজ ওএস এর মধ্যে এটাই সবথেকে বেশি সময় তার জায়গা ধরে রেখেছে। এখনো অনেকে এক্সপি এর জন্য ফিদা। তবে আপনারা জানেন যে উইন্ডোজ ৭ যখন ১ম বের হয় তখন এতে প্রবলেম থাকার কারনে কেউ এখনো এটা ব্যবহার থেকে বিরত আছেন। তবে ৭ সার্ভিস প্যাক ১ এ এসব প্রবলেম এর ৯৭% এর বেশি সলভ করা হয়েছে। এখন উইন্ডোজ ৭ কে উইন্ডোজ এক্সপি এর থেকে ভাল বলবো। তবে যাদের পিসি ৬৪ বিট সাপোর্ট করে না তারা ততটা ভাল ডিফারেন্স পাবেন না, কারন তাদের ৩২ বিট এই থাকতে হবে। তবে এক্সপি এর সার্ভিস প্যাক ৩ হচ্ছে এক্সপি এর লাস্ট ভার্সন। মাইক্রোসফট এর এনাউন্স অনুযায়ী তারা সার্ভিস প্যাক ১ এবং ২ এর আর কোন আপডেট দিবে না। তবে সার্ভিস প্যাক ৩ এর আপডেট দিবে। আর সার্ভিস প্যাক ৩ হল ৩২ বিট। আর উইন্ডোজ ৭ হল ৩২ এবং ৬৪ বিট।

৬৪ বিট এর মানে অনেকে বুঝেন যে অতিরিক্ত র‍্যাম খরচ, এই কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। ৬৪ বিট হল আপনার অপারেটিং সিস্টেম এর কর্ম ক্ষমতা ৩২+৩২=৬৪ মানে দাঁড়ায় ডাবল স্পিড। তবে কেউ পিসি এর কর্ম ক্ষমতা ডাবল ভাববেন না। যে ২ গিগাহার্জ থেকে ৪ গিগাহার্জ হবে তা না। ৬৪ বিট কাজ করে কি করে বুঝব? আপনি ৩২ বিটে একটা ফোল্ডার যার মধ্যে প্রায় ৩০০ ভিডিও ফাইলে আছে এবং ফোল্ডার টাইলস স্টাইলে দেয়া আছে। এটি ৩২ বিট লোড করতে যে সময় নেবে তার থেকে অর্ধেক সময় নেবে ৬৪ বিট। এটা প্রমানিত। ওএস কে সব সময় আপডেট রাখুন। এতে নানান বাগ থেকে প্রতিনিয়ত মুক্তি পাবেন। এবার আসি র‍্যাম এর ব্যাপারটায়, ৩২ বিট এর র‍্যাম ধরার ক্ষমতা কম। ৩২ বিট ৩.২৫ জিবি র‍্যাম পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারে, অর্থাৎ এর বেশি র‍্যাম থাকলে তা কাজে লাগবে না। অপরদিকে ৬৪ বিট ১৯২ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম সাপোর্ট করে।

এর মানে এই না যে আপনার ৬৪ বিট ওএস ৩২ বিট এর থেকে বেশি র‍্যাম ব্যবহার করবে। ৬৪ বিট আপনার পিসি এর টোটাল র‍্যাম কে কাজে লাগাবে মাত্র। ব্যবহার করা এবং কাজে লাগানো ভিন্ন ব্যাপার। তবে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম হার্ড ডিস্ক এর জায়গা ৪-৫ জিবি এর মতো বেশি ব্যবহার করে। ৬৪ বিটে ৩২ বিট এর প্রোগ্রামও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কিছু কিছু প্রোগ্রাম বাদে যেমনঃ এন্টি-ভাইরাস এবং কিছু সিস্টেম সফটওয়্যার। আবার কিছু কিছু প্রোগ্রাম ৬৪ বিট এর জন্য আলাদাভাবে বানানো হয়েছে, যাতে ৩২ বিট থেকে ৬৪ বিটে ৬৪ বিট এর মতো দ্রুত কাজ করা যায়। যেমনঃ উইনরার। এছারাও ভার্চুয়াল মেমরি আপনাকে ২ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম এই সাহায্য করছে। যারা গেমিং বা উচ্চ মানের কাজ করবেন তাদের জন্য ৬৪ বিট উইন্ডোজ ৭ সবথেকে ভাল।

৬৪ বিট আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের টোটাল মেমোরিকে এক্সটেন্ড করে। সব ধরনের গ্রাফিক্স কার্ডে নয়। ইন্টেল এইচডি ৩০০০ এবং রেডন এইচডি এর ১ জিবি এর গ্রাফিক্স কার্ডে টেস্ট করে পাই। ইন্টেল এইচডিতে ৯৩২ এমবি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৬৯৬ এমবি হয়েছে। রেডন ১০২৪ এমবি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮০০+ এমবি হয়েছে।

উইন্ডোজ ৮ কে আমি গেমিং এর জন্য ভাল বলবো না কারন, এটিতে এখনো কিছু গেমিং সমস্যা আছে। যেমনঃ স্ক্রিন কাঁপা, এক স্থানের সাইন অন্য স্থানে দেখানো ইত্যাদি। মোট কথা বলতে পারি আপনার পিসি তে ২ জিবি র‍্যাম এবং ৬৪ বিট সাপোর্ট প্রসেসর থাকলে এখনি ৬৪ বিট ব্যবহার করে দেখুন। আবার উইন্ডোজ এক্সপিকেও এখন গেমিং এর জন্য ততটা ভাল বলবো না কারন এক্সপিতে অনেক অ্যাপ্লিকেশন স্লো চলে। এর মূল কারন এটি ৩২ বিট যা ৬৪ এর মতো স্পিড দিতে পারে না। লেটেস্ট ভার্সন ব্যবহার করবেন এতে সম্পূর্ণ সুবিধা পাবেন।

প্রসেসর ৩২ না ৬৪ বিট তা জানতে উইন্ডোজ ৭,৮ বা ভিস্তাতে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে কম্পিউটার এর উপর মাউস কার্সর রেখে রাইট বাটনে ক্লিক করে প্রপার্টিসে ক্লিক করুন। এরপর দেখুন সিস্টেম ক্যাটেগরির নিচে পেয়ে যাবেন ৩২ না ৬৪ সাপোর্ট করে। আরও ভালভাবে জানতে দেখুন সিস্টেম ক্যাটেগরির নিচে র‍্যাটিং আছে। এর পাশে নিল কালিতে লিখা আছে উইন্ডোজ এক্সপেরিএন্স ইন্ডেক্স (Windows Experience Index) এটাতে ক্লিক করলে আরেকটি পেইজে আপনার পিসি এর সবকিছুর র‍্যাটিং পাবেন। পেইজ এর ডান পাশে বড় করে লিখা আছে আপনার পিসির বেস স্কোর। এবার এর নিচে দেখুন ভিউ অ্যান্ড প্রিন্ট ডিটেইলেড পারফরমেন্স অ্যান্ড সিস্টেম ইনফর্মেশন (view and print detailed performance and system information) এখানে ক্লিক করলে একটি আলাদা পেইজ ওপেন হবে। যেখানে সিস্টেম টাইপ এর পাশে লিখা থাকবে আপনার প্রসেসর ৩২ না ৬৪ বিট। তো জেনে গেলেন আপনার প্রসেসর হার্ডওয়্যারটি ৬৪ বিট সাপোর্ট করে কিনা।

উইন্ডোজ এক্সপি ইউজাররা স্টার্ট মেন্যু এর ডান পাশের নিচে রান "Run" লিখাতে ক্লিক করুন। এবার ডায়ালগ বক্সে লিখুন "WINMSD" এবং ওকে বাটনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার প্রসেসরের সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর খেয়াল করবেন আপনার প্রসেসরের ভ্যালু "Value" শুরু হবে x86 (শুধু ৩২ বিট সাপোর্ট করে এমন প্রসেসর) বা x64 (৩২ এবং ৬৪ বিট সাপোর্ট করে এমন প্রসেসর)।

এবার বলবো ইমেজ ডিস্ক সম্পর্কে

এটা নিয়ে টিউন হয়ছে তবে আমি এ ব্যাপারে অল্প কিছুই বলবো। ডিস্ক ইমেজ হল এক ধরনের ভার্চুয়াল সিডি বা ডিভিডি ডিস্ক। অনেকেই এ ব্যাপারে জানেন। ইমেজ ডিস্ক বানিয়ে আপনি নিজেও আপনি ভার্চুয়াল ডিস্ক তৈরি করতে পারবেন। এর দ্বারা আপনি আরও একটি সুবিধা নিতে পারেন। ধরুন আপনি একটি ডিস্কে কিছু জরুরী ফাইল রাইট করলেন। এবং তারপর আপনি ডিস্কটি একটি ভাইরাসভর্তি কম্পিউটারের ডিভিডি ড্রাইভে প্রবেশ করালেন। তাহলে কি ডিস্কটিতে ভাইরাস আসবে? নিশ্চয়ই না। কারন ডিস্কটি একবার রাইট করার পর আর রাইট করতে পারবে না, রি- রাইটেবল ছাড়া। যদি কোন ভাইরাস এরকম থাকতো যে সিডি বা ডিভিডিকে অ্যাটাক করতে পারত এবং রি-রাইট করতে পারতো তবে সেই ভাইরাস কে ভাল করে প্রোগ্রামাররা কাজে লাগিয়ে দিত। ইমেজ ডিস্ক টাও এরকম এতে ভাইরাস ঢুকতে পারে না। তবে যেহেতু এটা একটি আরকাইভার সেহেতু এতদিনে এখনো এটি কতটা নিরাপদ তা বলা যায় না।বর্তমানে ইমেজ ডিস্ক এর আরও কয়েকটি এক্সটেনশন বা ফরম্যাট রয়েছে। যেমনঃ *.ISO,*.UIF,*.BIN,*.CUE ইত্যাদি। এর মধ্যে ইউআইএফ ফরম্যাটটা সবথেকে সিকিউর। কারন এতে পাসওয়ার্ড দেয়া যায় যা আইএসও তে করা যায় না। এটা নিয়ে লিখার কারন নতুন ইউজাররা ফাইল ডাউনলোড করে ইমেজ ডিস্ক পেলে মনে করে ফাইল এরর। অনেকে মনে করে আইএসও শুধু বার্ন করার জন্য। কিন্তু আইএসও দিয়ে আরও কিছু যে করা যায় তার সম্পর্কে ধারনা দিলাম। আমি আইএসও এর জন্য ম্যাজিক আইএসও এবং ম্যাজিক ডিস্ক সফটওয়্যার ব্যবহার করি। এছারাও পাসওয়ার্ড দেয়া রার ফাইলেও ভাইরাস ঢুকতে পারে না।

এবার আসি পিসিকে হেল্প করতে আপনি কি করতে পারেন এই ব্যাপারে

পিসি দ্রুত কাজ করে এর মানে আপনার পিসিকে কমান্ড করার সাথে সাথে কাজ করে। হার্ড ডিস্ক কে হেল্প করতে ফাইল এবং ফোল্ডার কমিয়ে রাখুন। তাই বলে ডিলিট করে নয়। বছরে একবার ব্যবহার করেন এমন ফাইল গুলোকে জিপ বা যে কোন আরকাইভ করে রেখে দিন। এতে আপনার হার্ড ডিস্কের খাটুনি কিছুটা হলেও কমবে। কিভাবে? আপনার পিসি এর সিঃ ড্রাইভ এবং ডিঃ ড্রাইভ এর প্রপার্টিজ আসতে সময়ের কতটুকু ব্যাবধান দেখলেই বুঝতে পারবেন। র‍্যাম কে হেল্প করতে টেম্প,%টেম্প%,রিসেন্ট,রেজিস্ট্রি ইত্যাদি ক্লিন রাখুন। এবার আসুন প্রসেসর কে হেল্প করি। আপনি একটি উচ্চ মানের কাজ করছেন বা গেম খেলছেন। এর মাঝে আপনার কোন জরুরী কাজ এসে পড়লো আপনি আপনার কাজটি বন্ধ না করে উঠে গেলেন এতে প্রসেসর সচল রয়ে গেল এবং গরম হতে থাকল। এতে আপনার প্রসেসর এর ক্ষতি হবে। তাই বলে কি কাজ করব না? করবো না কেন? পিসি কিনেছেন তো কাজের জন্যই। তবে বিনা দরকারে প্রসেসর টাকে রান্না করার কি দরকার? 😀

এবার ওয়েব ব্রাউজার সম্পর্কে কিছু বলি

আমরা ওয়েব ব্রাউজার এর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহার করে থাকি মজিলা ফায়ারফক্স এবং গুগল ক্রোম। অনেকে মনে করেন গুগল ক্রোম তারাতারি ওপেন হয় তাই হয়তো গুগল ক্রোম কম র‍্যাম ব্যবহার করে। ফায়ারফক্স থেকে ক্রোম আরও বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে তবে একটু ভিন্ন ভাবে। ফায়ারফক্স ১ম চালু করলে ১২৫~১৩২ এমবি র‍্যাম ব্যবহার করে এবং প্রসেস থাকে ১ টি। যেখানে গুগল ক্রোম ১ম চালু করলে ১০~১৫ এমবি র‍্যাম ব্যবহার করে এবং প্রসেস থাকে ২টি। ফায়ারফক্সে ২য় ট্যাব খুললে র‍্যাম ব্যবহার করে ১০ এমবি ৩য় ট্যাব এ ১০ এমবি এভাবে প্রত্যেক ট্যাবে ১০ এমবি। কিন্তু ২~৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করলে দেখতে পাবেন তা কমতে এবং বাড়তে থাকে। তবে বাড়ার তুলনায় কমে বেশি। তার মানে এই না যে একেবারে ৫০ এমবি হয়ে যাবে। কমলেও ট্যাব অনুযায়ী র‍্যাম হাতে রেখে নেয়। এবার দাঁড়ালো ফায়ারফক্সে ৫টি ট্যাব এবং সফটওয়্যারটি নিজে চলতে র‍্যাম লাগে ১২৫+৫০= ১৭৫+ এমবি এবং প্রসেস থাকে ১টি। এবার গুগল ক্রোমে ৫টি ট্যাব এবং সফটওয়্যারটি নিজে চলতে র‍্যাম লাগে ১০+৫০১=৫১১+ এমবি এবং প্রসেস থাকে ১২~২০টি। এর কারন কি? গুগল ক্রোমে কিছু বিল্ট ইন ফিচার আছে যার মধ্যে রয়েছেঃ ফ্ল্যাশ,অটো সিঙ্ক,রিকভার,ট্রান্সলেটর ইত্যাদি। এসব ফিচার এর কারনে ক্রোমের এত গুলো প্রসেস ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ফায়ারফক্সে এসব ফিচার নেই।


এবার আসি ডাউনলোড ম্যানেজার এর ব্যাপারে

ডাউনলোড ম্যানেজার এর মধ্যে সেরা ডাউনলোড ম্যানেজার হল আইডিএম। এর কিছু বিশেষ ফিচার যা অনেকে আগে থেকেই জানেন আবার অনেকে জানেন না। এর প্রায় সব ফিচার গুলোই কাজের। আনলিমিটেড ইউজারদের জন্য এর সবথেকে কাজের যে ফিচারটি তা হল কিউ। কিউ কে আপনি আইডিএম এর অটোওয়ার্কও বলতে পারেন। ইন্টারনেট কোম্পানি গুলো যে হারে আমাদের টাকা নিচ্ছে তাতে এই পদ্ধতিটি দ্বারা কিছুটা হলেও লাভ হবে আপনার। কিভাবে ব্যবহার করা যায়, আপনি রাতে ঘুমাবেন। আপনি কিন্তু পিসি অফ করে শুয়ে পরবেন। আর পিসি অফ মানে ইন্টারনেটও অফ। কিন্তু কিউ অন থাকলে আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন আর আপনার পিসি আইডিএম এর সাথে মিলে আপনার বাছাইকৃত ফাইল গুলো ডাউনলোড করবে। এবং ডাউনলোড শেষে পিসি অটোমেটিক অফ করে দিবে আইডিএম।

ব্যবহার পদ্ধতিঃ

  • ১. রেজুম সাপোর্ট করে এমন লিঙ্ক ডাউনলোড দিন।
  • ২. ডায়ালগ বক্সে ডাউনলোড লেটারে ক্লিক করুন।
  • ৩. এরকম করে কয়েকটি ডাউনলোড জমান।
  • ৪. এরপর "স্টার্ট কিউ" (start queue) বা একটা আইকন যেটাতে স্টার্ট (start) লিখা আছে সেটাতে ক্লিক করুন। দেখবেন ডাউনলোড শুরু হয়ে গেছে।
  • ৫. কয়টি ফাইল একসাথে ডাউনলোড হবে, তা সিলেক্ট করতে স্কেজুলার (scheduler) বা একটা ঘড়ি আইকন আছে এটাতে ক্লিক করুন। এরপর দেখুন বক্সে ২টি ট্যাব আছে। একটি স্কেজুল (schedule) এবং আরেকটি ফাইলস ইন দ্যা কিউ (Files in the queue)। ফাইলস ইন দ্যা কিউ তে ক্লিক করুন। দেখুন এখানে লিখা আছে "ডাউনলোড [বক্স] ফাইলস এট দ্যা সেম টাইম" (Download [box] files at the same time)। এখানে বক্সে ডিফল্ট ২ থাকে আপনি এখানে যত নাম্বার দিবেন। ততগুলো ফাইল একসাথে ডাউনলোড হবে।
  • ৬. ডাউনলোড শেষে পিসি অটো অফ করতে স্কেজুলার (scheduler) বা একটা ঘড়ি আইকন আছে এটাতে ক্লিক করুন। এরপর দেখুন বক্সে ২টি ট্যাব আছে। স্কেজুল (schedule) বা ১ম ট্যাব এর একেবারে নিচের দিকে দেখুন ৩ টি অপশন আছে। এখান থেকে শেষেরটি হচ্ছে "টার্ন অফ কম্পিউটার হোয়েন ডান" (turn of computer when done) এটাতে টিক দিন এবার অ্যাপ্লাই করে ক্লোজ করে দিন। এবার ডাউনলোড হয়ে গেলে কম্পিউটার অটো অফ হয়ে যাবে।
  • ৭. কিউ পজ করলে পজ হয় না। কিউ পজ করতে স্টপ কিউ বা স্টার্ট আইকন এর পাশের আইকনটিতে ক্লিক করুন। এবং রেজুম করতে পুনরায় স্টার্ট কিউ দিন।

এছারাও আইডিএম এর আরেকটি ফিচার হল ডাউনলোড রেজুম। রিফ্রেশ ডাউনলোড অ্যাড্রেস দিয়ে ইরর হওয়া ডাউনলোড রেজুম করা যায়। এই ক্ষেত্রে রেজুম সাপোর্ট লিঙ্ক হতে হবে। যেমনঃ মিডিয়াফায়ার, পুটলকার, বিলিওনআপলোড,ডিরেক্ট লিঙ্ক ইত্যাদি। আমি ৫১২ কেবিপিএস স্পিড এর মোডেমে প্রতি রাতে ঘুমের সময়ে ২+ জিবি এর মতো ডাউনলোড করি।

আরও একটি ফিচার শুধু মাত্র ডিরেক্ট লিঙ্ক এর জন্য। ধরুন আপনি একসাথে ৩ টি ডাউনলোড লিঙ্ক নোটপ্যাডে কপি করলেন। প্রতিটা লিঙ্ক আলাদা আলাদা লাইনে থাকতে হবে। এই রকম

এবার লিঙ্ক গুলো কপি করে আইডিএম ওপেন করুন। এবার আইডিএম এর ১ম অপশন টাস্কে (Tasks) ক্লিক করুন। এরপর "অ্যাড ব্যাচ ডাউনলোড ফ্রম ক্লিপবোর্ড" (Add batch download from clipboard) এ ক্লিক করুন। দেখবেন সবগুল লিঙ্ক অ্যাড হয়ে গেছে। এবার স্টার্ট কিউ দিলেই ডাউনলোড শুরু।

যাদের লিমিটেড ইন্টারনেট তারা আইডিএম এর রেজুম সাপোর্ট দ্বারা উপকৃত হতে পারেন। ডাইরেক্ট লিঙ্ক হল ফুল্লি রেজুম সাপোর্ট সহ লিঙ্ক। এসব লিঙ্ক যখন ইচ্ছা পজ যখন ইচ্ছা ডাউনলোড করতে পারবেন। এবার আসি হোস্ট লিঙ্ক এর কথায়। যেমনঃ মিডিয়াফায়ার, পুটলকার, বিলিওনআপলোড,ব্যাটশেয়ার,আপএফাইল ইত্যাদি রেজুম সাপোর্ট দিবে কিন্তু লিঙ্ক জেনারেটের পর টাইম সেট হয়ে যায় লিঙ্ক কতখন ভ্যালিড থাকবে। ১ ঘণ্টা লিঙ্ক ভ্যালিড টাইম থাকলে ১ ঘণ্টা পর যদি আপনি পজ করেন তো রেজুম করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে কি করবেন? ফাইলটি সুরু থেকে ডাউনলোড করবেন? না। আইডিএম এর মেইন পেজ এ যান। সেখানে আপনি আপনার এরর হওয়া ফাইলটি দেখতে পাবেন।

সেটার উপরে রাইট ক্লিক করে "রিফ্রেশ ডাউনলোড অ্যাড্রেস" (Refresh download address) এ ক্লিক করুন। এবার ব্রাউজারে যে পেজ থেকে ডাউনলোড করেছেন সেই পেজটি আসবে। খেয়াল করবেন একটি ডায়ালগ বক্স নিউ লিঙ্ক এর জন্য অপেক্ষা করতেছে। এবার আপনি আবার ডাউনলোডে ক্লিক করলে দেখবেন ডায়ালগ বক্সে লিখা আসবে আইডিএম নতুন ডাউনলোড লিঙ্ক রিসিভ করেছে। এবার রেজুম দিলে দেখবেন রেজুম হচ্ছে। রেজুম যেখানে কাজ করে না সেটা বুঝবেন কি করে? ডাউনলোড দেয়ার পর ডাউনলোড ডায়ালগ বক্সে দেখুন রেজুম সাপোর্ট এর পাশে লাল কালিতে নো লিখা আসবে। এসব ডাউনলোডের মাঝে পজ না করাটাই উত্তম।

না জেনে জানানো বড় এক ধরনের বোকামি। জতদুর জানি ততদুর জানালাম। আরও অনেক কিছু জানানোর আছে। একই টিউন বার বার রিপ্লাই করার কোন মানে হয় না।

আজ আর নয়। আমার চিঠি এখানেই শেষ। পিওনকে দিয়ে এখনি টিউন করে দিলাম আপনাদের সবার নামে। মনে হচ্ছে অনেক কিছুই লিখিনি তবে আশা রাখি টিউনারদের ভাল লাগবে। যারা জানেন তারা কিন্তু এবার খেয়ে ফেললেন। যদি ভাল লাগে তবেই নেক্সট টিউন লিখব।

এই টিউনটির সাথে সম্পরকৃত আমার আরেকটি টিউন। এখানে ক্লিক করুন

ভিজিট করুন আমাদের একটি সুপার এফটিপি সাইটঃ এখানে ক্লিক করুন
একই টিউন বার বার রিপ্লাই করার কোন মানে হয় না। টিউন যদি ভাল না হয় বলে দিবেন। পরার জন্য ধন্যবাদ।

Level New

আমি saif_precio। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 624 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

CEO & Founder of The Introvision Ltd.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

Valo laglo apnar post. Thanks bro…

খুব ভালো হয়েছে ।

খুব ভাল লাগলো আপনার টিউন টি । এক নিঃশ্বাসে পরে নিলাম + প্রিয় তেও রাখলাম ।

Level 0

Bro Aapnar Tuner Er Jonno Thanks, Tobe Bro Win8 Kintu Ar Ager Moto Nai, Ami Win8 Pro. Er 64Bit USE Kore Ekhon Porjonto Kintu Amar Kase Xp Ba 7 Er Chaya Win8 E Valo Lagse, R Game Ami Last Tomb Raider 2013, Tar Age Devil May Cry With Vargil Downlfall Soho Joto Latest Game Ase Sob E Chalai Se Full High Resulation A Ses Korlam Without No Problem.

    Level New

    @shonzim: shob game er problem hobe na. ar 2013 er game gulo windows 8 compatibility korei banano hoyese. but ager game jemon 06-12 er game gulo te nanan problem hoy. Bully SE amar most favourite game eta teo screen blink kore. other thing Rise Of Nations eta teo problem kore. tai sob dhoroner game er jonno W7u x64 is best. ar idaningkar gamer holey. W8 x64 best hobe.

    Level New

    @shonzim: ar ami dual boot diye prayi W8 test kori.

      Level 2

      @saif_precio: Ami ekta graphics card kintesi 2nd hand. amar cousine eta kinse kisudin aage 16000 tk. dia. Kintu ami kivabe bujbo etar jonno recomended power supply konta? helpan. 🙂

        Level New

        @farhadjoy: age lagiye dekhen. ami normal 6 years ager pc te graphics card lagiyesi kono extra power supply lage ni. tobe apnar tay lagte pare jehetu DDR5. and eta te ki fan ase?

64 er kotha ta r chrome er ei 2 ta age jantam na,….many many thnx

Great tune.Keep it up. 😀

khubi valo tune

valo laglo

Level New

apnader upokar holei holo. ami khushi.

Wow!!! really nice tune.
আগেই বলেছিলাম, আপনি আমার favourite টিউনার, সুতরাং ভাবাভাবি না করে প্রিয় -তে নিলাম।

সারা রাত জেগে এই টিউন করেছেন, এই জন্য বিশাল একখানা THANKS….

“স্কেজুলার (scheduler)” এর উচ্চারণ সম্ভবত “সিডিউলার” হবে।পুরো ‍টিউনটা এত নিখুঁত হয়েছে যে শব্দটা খুব চোঁখে লাগছে। অসাধারণ টিউন।

Level 0

সিপিইউ (প্রসেসর/মাদার বোর্ড) ৩২ না ৬৪ বিট ,এটা বোঝার উপায় যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন ভাল হত। সব মিলিয়ে শিক্ষামুলক পোষ্ট প্রিয়তে রাখলাম।

    @GreenArmy: Start Button থেকে My Computer এ Right Click করে properties এ ক্লিক করেন । তাইলে পাবেন ।

    Level New

    @GreenArmy: add kore dilam. ebar dekhun.

Level 2

Saif vai…XP te kivabe janbo j 32 naki 64 bit processor….???? ei process ta aktu bolen…..

    Level New

    @Shuvro333: পোস্ট আপডেট করা হল। এবার দেখুন।

Level 0

AMAR SAMSUNG NOTEBOOK
AMD A6-3420 APU QUAD CORE 1.50 GHZ 4 CORE(s) WITH READON(TM)HD 6520 GRAPHICS
6 GB RAM
ei proccesor ta ki intel core i 3 2.60 GHZ THEKE VALO NAKI KARAP ??????

Level New

AMD A6-3420 er CPU mark: 2102 (higher is better) and Rank: 601 (lower is better) —– core i3 2.6 GHZ CPU Mark: 2396 Rank: 539 core i3 2.6 GHZ

Level 0

iso file kivabe toiri kora jay parle prosses ta janaben please @ saif_precio

Level 0

bai. ami D drive k venge 3 t korechi. new volume 3 tb dynamic volume hoye gase. drive golo basic korbo kivabe. pls kono software thakle den.

Level 0

I m ..waiting…

    Level New

    @Saimon: Back up all volumes on the disk you want to convert from dynamic to basic.

    Open Computer Management (Local).

    In the console tree, click Computer Management (Local), click Storage, and then click Disk Management.

    Right-click each volume on the dynamic disk you want to convert to a basic disk, and then click Delete Volume for each volume on the disk.

    When all volumes on the disk have been deleted, right-click the disk, and then click Convert To Basic Disk.

Level 0

আমার সালাম নিবেন । আপনার টিউনটি সুন্দর হয়েছে । নতুন কাছু জানতে পারলাম । আপনি অনেক জায়গায় “র্যাম” লিখেছেন , আমার মনে হয় আপনি “RAM” কে বুঝিয়েছেন ।

    Level New

    @Hasib: Ami Ram oi likhesi. apnar font problem.