অসাধারণ টিপসের সমাহার (না দেখলে Miss)

সকল টিউন পাঠকরা আমার সালাম নিন। আশা করি ভালো আছেন। আপনার পাশাপাশি নিশ্চয়ই আপনার পিসিটি ও ভালো আছে। এটা আমার প্রথম টিউন তাই বলে আমার এই টিউনটি ভুল বা তেমন সকায়ক নয় বলে মনে করবেন না। আমার এই টিউনটিতে আমি অনেকগুলো টিপস দেবো। যার বেশিরভাগই আপনাদের কাজে লাগবে বলে মনে করি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা কম্পিউটার চালানোয় দক্ষ নই বা একেবারে নতুন। তাদের দক্ষতার অভাবে তারা তাদের কম্পিউটার নিয়ে অনেক বিপদে পরেন। কম্পিউটারের অনেক প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার নষ্ট হয়ে যায়। তারপর আমাদের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়। আমার এই টিউন টি পরে আপনারা অনেক সমস্যার সমাধান নিজে নিজে করতে পারবেন। তাছাড়া এমন সমস্যায় আপনাকে পড়তে ও হবেনা।

আপনার কম্পিউটার কি অনেক স্লো কাজ করছে?
সমাধানঃ কম্পিউটার একটি যথেষ্ট Organized যন্ত্র। তারপরে ও আমাদের ব্যাবহারের উপর এর অনেক কিছু নির্ভর করে। আপনি ইচ্ছা করলে এর সব ফাইল ফোল্ডার কে যেমন ইচ্ছা তেমন রাখতে পারবেন আবার সাজানো গোছানো ও রাখতে পারবেন। মোট কথা আপনার উপর আপনার কম্পিউটারের Organization নির্ভর করবে। যেমন আপনার কম্পিউটারে যদি অডিও গান, ভিডিও গান, মুভি, নানারকম ডকুমেন্ট থাকে তাহলে আপনি এগুলো আলাদা আলাদা ফোল্ডার এ সাজিয়ে রাখতে পারবেন। যারা বাবসায়িক কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের কম্পিউটার অনেকটা সাজানো গুছানো থাকে। আর যারা হোম পিসি ব্যবহার করে তাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে যারা তাদের ডকুমেন্ট থেকে শুরু করে অন্যান্য ফাইল অগুছালো রাখে।

ব্যাবহারিক সফটওয়্যার অন্যত্র ইন্সটল করাঃ
আপনার যদি বেশ বড়সড় হার্ডডিস্ক থাকে তাহলে আপনার ব্যাবহারিক সফটওয়্যার তাহলে আপনার জন্য খুব ভালো হয়। সাধারণত আমরা সফটওয়্যার C ড্রাইভে করে থাকি। C ড্রাইভে Windows Set up দেয়া থাকে। এর সাথে একত্রে অনেকগুলো সফটওয়্যার ইন্সটল দিলে C ড্রাইভ ও রাম কম কাজ করে যার ফলে পিসি স্লো কাজ করে। আপনার যদি হার্ডডিস্ক বড় হয় তাহলে আপনি সফটওয়্যার C ড্রাইভে ইন্সটল না করে অন্যান্য ড্রাইভ গুলোতে সমানভাবে ইন্সটল করুন এতে C ড্রাইভের উপর চাপ কমে যাবে। রাম ও ঠিকভাবে কাজ করবে। এতেকরে আপনার ডিস্ক পার্টিশনের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।

নিয়মিত স্ক্যানডিস্ক ও ডিফ্রাগ করাঃ
মাসে একবার হলেও হার্ডডিস্ক পার্টিশনে থ্রু স্ক্যানডিস্ক করুন। স্ক্যানডিস্ক চালাতে স্টার্ট মেনুর রান এ গিয়ে টাইপ করুন scandisk তারপর ok করুন। স্ক্যানডিস্ক প্রক্রিয়া শুরু হবে। ডিফ্রাগ একটি ইউটিলিটি টুলস যা দিয়ে আপনার হার্ডডিস্কের পারফরমেন্স বাড়ানো যায়। এটি open করতে হলে Start Menu এর Run অপশনে গিয়ে Defrag টাইপ করতে হবে। বা Start মেনুতে Defragment your hard drive টাইপ করে open করতে হবে। পরে পরে একে একে Drive সিলেক্ট করে analized ও পরে Defragment করুন।
Defragment করার পূর্বে analized করা জরুরী।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করাঃ
আপনার যে সফটওয়্যার টির প্রয়োজন নেই সেটি আনইন্সটল করে ফেলুন। এতে হার্ডডিস্ক পরিচ্ছন্ন থাকে। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করতে প্রথমে Control প্যানেলের Add/Remove এ যান যে সফটওয়্যারটির আপনার প্রয়োজন নেই সেটি সিলেক্ট করে Remove বাটনে ক্লিক করুন। তারপর সফটওয়্যার এর স্টেপ বুঝে বুঝে Next ক্লিক করুন। সফটওয়্যার টি আনইন্সটল হওয়ার পর Restart দিন।

পিসির গতি কমে গেছে নো প্রবলেমঃ
সমাধানঃ যদি আপনার কম্পিউটারে রাম কম থাকে তাহলে এ সমস্যা হতেই পারে। কন্ট্রোল প্যানেলের System এ প্রবেশ করে এর পারফরমান্স ট্যাবে ক্লিক করে এডভান্স থেকে ভার্চুয়াল মেমরি অংশে যেতে হবে। এখন Let me specify my own virtual memori settings সিলেক্ট করতে হবে। এখানে মিনিমাম ভ্যালু ৫০ থেকে ১০০ তে পরিবর্তন করতে হবে। ম্যাক্সিমাম ভ্যালু পরিবর্তন করা যাবেনা। তারপর ok করে Restart করুন। মূলত এটি Win386.swp নামে সোয়াপ ফাইল সৃষ্টি করবে। উইন্ডোজের ডিফ্রাগমেন্টার অথবা নরটনের স্পীড চালালে পিসির পারফরমান্স বেড়ে যাবে।

সুপ্রিয় টিউন পাঠক, আমার এই টিপস গুলো হয়ত অনেকেই জানেন। জারা জানেন না তারা এটি পরে উপকৃত হবেন বলে মনে করি। যদি আমার এই টিউনে কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে আমার ভুলটি কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন। আমার এই টিউন কারো ভালো লাগলে প্লিস কমেন্ট করুন।

Level 0

আমি ফাহিম আজিজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

জ্বী পিসিসহ আমরা বেশ ভাল আছি। 🙂

Level 2

দারুন একটা টিউন। অবশ্যই নতুনদের উপকারে আসবে। চালিয়ে যান।

@Kabirul আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।