জেনে নিন আপনার অনলাইনের পাসওয়ার্ডটি কতটা নিরাপদ !

জিনিয়াস সব বন্ধুরা আমার, ক্যামন আছো সবাই ? আমি তুলনামূলক ভালো আছি । অনেক দিন পর আবার হাজির হলাম।
টেকটিউন থেকে সারা জীবন শুধু নিয়েই গেলাম ভালো কিছু দিতে পারলাম না  আজ পর্যন্ত। তাই আজ এলাম আমার সকল টেকটিউন বন্ধুদের একটু সাবধান করে দিতে  🙂

তাহলে চলুন দেখে নেই  "আমাদের অননাইনের পাসওয়ার্ডটি নিরাপদ কি না?"

 

আমরা সবাই হয়ত অনলাইনে কাজ করে থাকি। অনলাইনে আপনার একাউন্টের চাবিকাঠি হল পাসওয়ার্ড। পাসওয়ার্ড হল সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার প্রথম ধাপ। আপনার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলির জন্য ভিন্ন শক্তিশালী পাসওয়ার্ডগুলি বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নিয়মিত আপনার পাসওয়ার্ড আপডেট করা ভালো। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি এবং নিরাপদ করতে জেনে নিন কিছু জরুরি পরামর্শ।

১. ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার :

আপনার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্ট যেমন ইমেল এবং অনলাইন ব্যাংকিং-এর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন৷ আপনার বাড়ি, গাড়ি এবং অফিসের জন্য একই লক ব্যবহার করার মত প্রতিটি অনলাইন অ্যাকাউন্ট গুলির জন্য একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে অপরাধী যদি একটিতে অ্যাক্সেস করতে পারে, তাহলে সবগুলিতে করতে পারবে। তাই আপনার ইমেইল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের জন্য আপনি যে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন, তা আরেকটি অনলাইন নিউজলেটারের জন্য ব্যবহার করবেন না। কম সুবিধাজনক হলেও একাধিক পাসওয়ার্ডের ব্যবহার আপনাকে নিরাপদ রাখবে।

২. গোপন স্থানে রাখুন :

পাসওয়ার্ডগুলি লিখে রাখা ভালো। তবে এটি একটু নিরাপদে রাখাই শ্রেয়। কখনই আপনার কম্পিউটার অথবা ডেস্ক ছেড়ে আসবেন না। যদি আসেন এর নিরাপত্তা বজায় রেখে তারপরে আসুন। মনে রাখবেন, " কারো কাছে নিজের ল্যাপটপ/মোবাইল/ডেক্সটপ কম্পিউটার ছেড়ে আসা মানে তাকে আপনার সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে আসা।"

৩. লম্বা পাসওয়ার্ড তৈরিঃ

নম্বর, অক্ষর এবং প্রতীক দিয়ে গঠিত একটি লম্বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এতে আপনার লম্বা পাসওয়ার্ড কারও পক্ষে অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়বে। নম্বর, প্রতীক এবং বড় ছোট হাতের অক্ষরগুলি জুড়ে তৈরি করা পাসওয়ার্ড ভেদ করা অথবা অন্যদের দ্বারা অনুমান এবং ভাঙা কঠিন হবে। ‘১২৩৪৫৬’ এই ধরনের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না এবং খুব সহজেই অনুমেয় যেমন আপনার ফোন নম্বর দিয়ে পাসওয়ার্ড কখনই করবেন না। এগুলো কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।

৪. শুধু নিজেই জানুনঃ

এমন শব্দ ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন যা শুধুমাত্র আপনিই জানেন। কেবলমাত্র আপনি জানেন এমন একটি শব্দগুচ্ছ মনে করুন এবং এটি মনে রাখার মাধ্যমে একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হন।

৫. প্রতিনিয়ত আপডেট করুনঃ

আপনার পাসওয়ার্ডটি যতটা সম্ভব আপডেট করুন। কারণ কখন কিভাবে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে যাবে আপনি হয়ত বুঝতে পারবেন না। তাই সম্ভব হলে কিছুদিন পর পর তা আপডেট করুন এবং মনে রাখার চেষ্টা করুন।

৬. পাসওয়ার্ডের পুনরুদ্ধারে বিকল্প স্থাপনঃ

যদি আপনি আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে যান অথবা মনে করতে পারছেন না এমন হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে ফিরে যেতে আপনার একটি উপায় প্রয়োজন। যদি আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার ইমেইল ঠিকানায় একটি পুনরুদ্ধার মেইল পাঠাবে। এতে দেখা যাবে আপনার পুনরুদ্ধার ইমেইল ঠিকানা আপ-টু-ডেট রয়েছে এবং অ্যাকাউন্টটি এখনও অ্যাক্সেস করতে পারেন। এছাড়াও কখনো কখনো পাঠ্য বার্তা মারফত আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি কোড পেতে আপনার প্রোফাইলে একটি ফোন নম্বর জুড়তে পারেন। কেননা আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে আপনার অ্যাকাউন্টে একটি মোবাইল নম্বর থাকা হল অন্যতম সহজ এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।

৭. বিকল্প নিরাপত্তা ই-মেইলঃ

অনেক সময় দেখা যায় আপনি আপনার ফেচবুক অ্যাকাউন্ট আপনার কোন এক বন্ধুকে দিয়ে খুলিয়েছেন। তিনি অ্যাকাউন্টটি খোলার সময় বিকল্প ই-মেইল হিসেবে তার ই-মেইলটি দিয়ে রেখেছে। এতে করে সে খুব সহজেই আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারবে । তাই সবসময় বিকল্প ই-মেইল হিসেবে নিজের অন্য একটি ই-মেইল দিয়ে রাখবেন।

সবশেষে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কথাঃ

আপনি যখন আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করেন তখন একবার হলেও অ্যাড্রেস বারের URL টি দেখে নিন ।
কেন বল্লাম ? > নিচের চিত্রটি বড় করে দেখুন। বুঝতে পারছেন কিছু ?

ধন্যবাদ সবাইকে, আজ এ পর্যন্তই আল্লাহ্‌ হাফেজ ।

আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন । 🙂

আমাকে ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন ।

Level 2

আমি Javelin Bin Rajjak। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোষ্ট টির জন্য।

http://how2doing.blogspot.com

আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য 🙂

Thanks for share