প্রোজেক্টর স্ক্রীন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

টিউন বিভাগ টিপস এন্ড ট্রিকস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

প্রোজেক্টর স্ক্রীন সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আপনি প্রোজেক্টর স্ক্রীন কিনবেন ভাবছেন কিন্তু কি ধরনের স্ক্রীন কিনবেন সেটা বুঝতে পারছেন না অথবা যেই স্ক্রীন কিনবেন সেটা আপনার কাজের উপযোগী কিনা জানতে নিচের লিখাটুকু আপনাকে সাহায্য করবে বলে আশা করি।

লিখার প্রথমেই বাংলাদেশে প্রচিলিত প্রোজেক্টর স্ক্রীন গুলোকে ২ ভাগে ভাগ করে নেয়া যায়, যেমন ১. বহুল প্রচিলিত স্ক্রীন ২. উন্নত মানের স্ক্রীন

১. বহুল প্রচিলিত স্ক্রীনঃ

a) ট্রাইপড প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Tripod Projector Screen): ট্রাইপড প্রোজেক্টর স্ক্রীন বা তিন পা ওয়ালা স্ক্রীন সবচেয়ে বেশি প্রচিলিত কারণ আপনি যেখানে খুশি সেখানেই এটা ব্যবহার করতে পারবেন বিশেষ করে বাহিরে বা খোলামেলা জায়গায় আপনি সহজে এই স্ক্রীন ব্যবহার করতে পারবেন। যাদের স্ক্রীন ফিক্সড করার জায়গা নেই বা ফিক্সড করতে চান না তারা এই ধরনের স্ক্রীন ব্যবহার করতে পারেন। বাংলাদেশে ট্রাইপড স্ক্রীন বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায় ৬০X৬০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৯৬X৯৬ ইঞ্চি পর্যন্ত আর স্ক্রীনের কালার হয় সথি সাদা (Matte White)।

b) ম্যানুয়াল ওয়াল বা সিলিং প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Manual Wall / Ceiling Projector Screen): রুমের যে কোন নির্দিষ্ট স্থানে ফিক্সড করে লাগিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হয় এই স্ক্রীন সেটা ওয়ালে কিংবা সিলিং এর মধ্যে। এটি হাত দিয়ে ওঠানো নামানো যায়। বাংলাদেশে ওয়াল বা সিলিং প্রোজেক্টর স্ক্রীন বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায় ৬০X৬০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১৫০ ইঞ্চি পর্যন্ত স্ক্রীনের কালার হয় সথি সাদা (Matte White)।

c) ইলেক্ট্রিক বা মোটরাইজড প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Electric / Motorized Projector Screen): এই স্ক্রীন ম্যানুয়াল ওয়াল বা সিলিং প্রোজেক্টর স্ক্রীনের মত ব্যবহার করতে হয় কিন্তু এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এটি ইলেক্ট্রিক রিমোটের সাহায্যে ওঠানো নামানো যায়। আজকাল এই স্ক্রীনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে ইলেক্ট্রিক বা মোটরাইজড প্রোজেক্টর স্ক্রীন বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায় ৬০X৬০ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১৮০ ইঞ্চি পর্যন্ত স্ক্রীনের কালার হয় সথি সাদা (Matte White)।

২. উন্নত মানের স্ক্রীনঃ

a) সিলভার বা হাই কনট্রাস্ট গ্রে প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Silver / High Contrast Gray Projector Screen): হাই রেজুলেশনের (High Resolution) প্রোজেক্টরের বা হাই কনট্রাস্ট (High Contrast) প্রোজেক্টরের নেটিভ কনট্রাস্ট সথি সাদা (Matte White) স্ক্রীনে রংধনুর মত আভা দেখা যায় আর এই সমস্যা সিলভার বা হাই কনট্রাস্ট গ্রে স্ক্রীনে হয় না। বাকি সব ধরন ইলেক্ট্রিক বা মোটরাইজড প্রোজেক্টর স্ক্রীনের মত। যারা হোম থিয়েটার করার চিন্তা করছেন তাদের জন্য এই স্ক্রীন আদর্শ। বাংলাদেশে সিলভার বা হাই কনট্রাস্ট গ্রে স্ক্রীন 16:9 HDTV ফরমেটের বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায় ৯২ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১৫১ ইঞ্চি পর্যন্ত।

b) ফিক্সড ফ্রেম প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Fixed Frame Projector Screen): প্রোজেক্টরের নেটিভ রেজুলেশনের (Resolution) বা কনট্রাস্ট (Contrast) উপভোগ করার জন্য এটি স্ক্রীন একটি আদর্শ স্ক্রীন। যারা হোম থিয়েটার করার চিন্তা করছেন বা হাই রেজুলেশনের (High Resolution) প্রোজেক্টরের বা হাই কনট্রাস্ট (High Contrast) এর প্রোজেক্টর ব্যবহার করেন আজই কিনে নিতে পারেন এই স্ক্রীন। বাংলাদেশে ফিক্সড ফ্রেম প্রোজেক্টর স্ক্রীন 16:9 HDTV ফরমেটের বিভিন্ন সাইজের পাওয়া যায় ৯২ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ১৫১ ইঞ্চি পর্যন্ত।

c) ফাস্ট ফোল্ড বা রেয়ার প্রোজেক্টর স্ক্রীন (Fast Fold / Rear Projector Screen): এই স্ক্রীন সামনে বা পিছন থেকে প্রোজেক্টশন করা যায়। যাদের প্রোজেক্টশন করার জন্য সামনে পর্যাপ্ত জায়গা নেই তারা এই ধরনের স্ক্রীন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ব্যবহার শেষে অন্যত্র আনা নেয়া করা যায় সহজে কিন্তু এটির বাজার মূল্য অনেক বেশি। বাংলাদেশে ফাস্ট ফোল্ড বা রেয়ার প্রোজেক্টর স্ক্রীন 16:9 HDTV ফরমেটের ২ সাইজের পাওয়া যায় ১৫০ ইঞ্চি ও ১৮০।

d) ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড (Interactive Whiteboard): এটি সাধারণত স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টারে ও ইউনিভার্সিটিতে ব্যবহার করা হয় বেশি তাছাড়া বর্তমানে বহুমুখী কাজে ই ধরনের স্ক্রীন ব্যবহার করে থাকে। পুরনো চক ডাস্টার, মার্কার পদ্ধতি বাদ দিয়ে আজকাল স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টারে ও ইউনিভার্সিটির ক্লাস রুমে ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড (Interactive Whiteboard) এর ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে প্রোজেক্টর স্ক্রীনের যে ব্র্যান্ড গুলো প্রচিলত তার মধ্যে Innovation, Dopah, Apollo, ALL IT ও 3M বহুল প্রচিলত।

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে যে প্রোজেক্টর স্ক্রীন পাওয়া যায় তার সবগুলোই চায়না (China) থেকে আমদানি করা হয়। যা বাংলাদেশে অনেকে তাদের নিজ কোম্পানির নামে বা নিজের পছন্দ মত নামের লোগো (Logo) ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তু বাংলাদেশের কিছু বিক্রেতা তাদের প্রোজেক্টর স্ক্রীন গুলোকে আমেরিকার ব্র্যান্ড বা তাদের নিজের লোগো (Logo) কৃত স্ক্রীন গুলোকে বিশেষ মান সম্পন্ন প্রোডাক্ট হিসেবে প্রচার করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

তাই আপনারা এই সকল বিক্রেতা হতে সাবধান থাকুন এবং দেখে শুনে দাম যাচাই করে স্ক্রীন কিনুন।

এই আর্টিকেল টি যদি ইউসফুল মনে করেন তবে নিচের টিউমেন্ট-এ আপনার মতামত দিতে পারেন। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি তুহিন জুবায়েদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অনেক ভালো পোষ্ট, আশা করি আরও এমন গুরুত্বপূর্ন পোষ্ট করবেন।

দামসহ উল্লেখ করলে ভাল হতো।