ব্লগার বিশেষজ্ঞ হয়ে যান; ব্লগার টিউটোরিয়াল : আদ্যোপান্ত [পর্ব-৩] :: ব্লগার টিউনারবোর্ড পরিচিতি

হ্যাল্লো টেকটিউনসবাসী,

কি অবস্থা আপনাদের? আশা করছি এবং আমি জানি আপনারা অনেক অনেক ভাল আছেন। ভাল থাকাটা একটা মাস্ট আর ভাল না থাকাটাই অস্বাভাবিক, কেননা আপনি আছেন বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় এবং প্রথম এবং সেরা প্রযুক্তি ব্লগ টেকটিউনসে। টেকটিউনসের সাথে থেকে খারাপ থাকার কোন প্রশ্নই উঠে না।

আর তাই আমিও আছি অনেক ভাল। মেতে আছি প্রযুক্তির সুরে। আর প্রযুক্তি দুনিয়ার বাসিন্দারা আপনাদের জন্য আজ নিয়ে এসেছি ব্লগার বিশেষজ্ঞ হয়ে যান সিরিজের তৃতীয় পর্ব। তৃতীয় পর্ব শুরু করার আগে যারা দ্বিতীয় পর্বটি পড়েন নি তারা অবশ্যই দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে নিন

পর্বের ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা ব্লগারের টিউন করার যে মেনু সেটার সাথে পরিচিত হবো। তো চলুন শুরু করা যাক।

ব্লগার টিউনবোর্ড

ব্লগার টিউন বোর্ডে যেতে প্রথমে 'টিউনগুলি' থেকে 'নতুন টিউন' এ যান।

নতুন টিউনে ক্লিক করলে নিচের পেজে পৌছে যাবেন। এটাই ব্লগারের টিউনবোর্ড বা টিউন করার পেজ।

ব্লগারে কোন টিউন লিখতে এই বোর্ডটি ব্যবহৃত হয়। এখান থেকে টিউন ফরম্যাটিং, টেক্সট কালারিং, লিংক বা ছবি বা ভিডিও যোগ করা সহ একটি ব্লগ টিউনে যা যা দরকার সেই সবই করা হয়। চলুন এর সাথে পরিচিত হওয়া যাক।

প্রথমেই বাম পাশে উপরে আছে 'রচনা করুন' এবং 'HTML' এটি মূলত আপনি আপনার ব্লগ টিউনটি কিভাবে লিখতে চান সেই অপশন প্রদান করে। আপনি 'রচনা করুন' সিলেক্ট করে স্বাভাবিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মত লিখে একটি টিউন তৈরী করতে পারবেন।

স্বাভাবিক ভাবে টিউনে ছবি, ভিডিও এবং লিংক এড করতে, টেক্সট কালার করতে আরো বাকি সব কাজ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি 'HTML' সিলেক্ট করে টিউন লিখেন তাহলে আপনাকে এইচটিএমএল প্রোগ্রামের ভাষা অনুসরণ করে টিউন করতে হবে। আপনি এইচটিএমএল এক্সপার্ট না হলে আসলে 'HTML' পদ্ধতিতে কিছুই লিখতে পারবেন না।

আর 'HTML' পদ্ধতিতে লেখা হলেও 'রচনা করুন' এ আপনার টিউনটিকে যেমন দেখাবে প্রকাশিত হবার পরও টিউনটি সেরকমই দেখাবে। এই টিউনটিকে 'রচনা করুন' এবং 'HTML' এ কেমন দেখায় সেটা দেখলেই বুঝতে পারবেন এই দুই পদ্ধতিকে।

 

 

 

 

 

 

এরপর আছে 'পূর্বাবস্থায় ফিরুন(Undo)' এবং 'আবার করুন(Redo)' বাটন। প্রথম বাটনটি Undo এবং দ্বিতীয় বাটনটি Redo। কোন কিছু ভুলে করে ফেললে সেটা বাতিল করতে 'পূর্বাবস্থায় ফিরুন' এ ক্লিক করতে হয় এবং ভুলে কোন কিছু Undo করে ফেললে বা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে গেলে সেটা আবার করতে 'আবার করুন' বা Redo বাটন চাপতে হয়।

এরপর আছে হরফ এবং হরফের আঁকার বা Font এবং Font Size। এখান থেকে আপনি কোন ফন্টে লিখতে চান সেটা সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। লেখার মাঝে যে কোন সময় ফন্ট চেঞ্জ করতে পারবেন সেই সাথে ফন্টের আঁকার কেমন হবে ইচ্ছামত সেটাও সিলেক্ট করে নিতে পারবেন যে কোন সময়।এরপর আছে ফরম্যাট।

আপনার লেখার ফরম্যাট সিলেক্ট করতে পারবেন এখান থেকে। লেখাটি কি কোন কিছুর শিরোনাম এর ফরম্যাটে হবে নাকি উপশিরোনাম নাকি সাধারণ ফরম্যাটেই থাকবে সেটা সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। স্বাভাবিক লেখার জন্য 'সাধারণ' ফরম্যাটই ব্যবহৃত হয়।

তারপর একই গ্রুপে ক্রমান্বয়ে আছে মোটা বা Bold, তির্যক বা Italic, নিম্নরেখাঙ্কণ বা Underline এবং স্ট্রাইকথ্রু(Strikethrough)। লেখার মাঝে বিভিন্ন সময় প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহৃত হয়। মোটা বা Bold সিলেক্ট করে কোন লেখাকে মোটা বা Bold করতে পারবেন।

Italic সিলেক্ট করে লিখলে লেখা হালকা বাঁকা বা তির্যক হবে। আন্ডারলাইন সিলেক্ট করলে লেখার নিচে আন্ডারলাইন বা দাগ হবে। আর স্ট্রাইকথ্রু সিলেক্ট করে লিখলে লেখার মাঝ বরাবর একটা রেখা চলে যাবে।

এরপর আছে পাঠের রঙ এবং পাঠের ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙ। যেগুলো হল মূলত টেক্সট কালার(Text Color) এবং টেক্সট ব্যাকগ্রাউন্ড কালার(Text Background Color)। টেক্সট কালার থেকে লেখার যে কোন রঙ সিলেক্ট করা যাবে। যে রঙ সিলেক্ট করা হবে লেখাটি সে রঙে হবে। আর টেক্সট ব্যাকগ্রাউন্ড কালার থেকে লেখার পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডের কালার সিলেক্ট করা যাবে। এতে যে রঙ সিলেক্ট করা হবে লেখার পেছনে সে রঙ দেখাবে।

তারপর আছে 'লিংক', 'ছবি', 'ভিডিও', 'বিশেষ অক্ষরগুলি' ঢুকান এবং 'ব্লগ টিউনের সারাংশ ঢুকান' এর অপশন। টিউনে কোথাও কোন লেখার মাঝে লিংক দিতে চাইলে সে লেখার অংশটুকু সিলেক্ট করে 'লিংক' এ গিয়ে যে কোন লিংক দেয়া যাবে। অথবা 'লিংক' এ গিয়ে লেখাসহ যে কোন জায়গায় লিংক এড করা যাবে।

টিউনে ছবি বা ভিডিও আপলোড করে কিংবা ভিডিওর লিংক দিয়ে সেটা টিউনে এড করার জন্য 'ছবি ঢুকান' এবং 'ভিডিও ঢুকান' বাতন ব্যবহৃত হয়। বিশেষ অক্ষর বলতে মূলত বিভিন্ন ইমোজি, প্রতীক, অন্য ভাষার সংখ্যা এইসব বোঝানো হয়েছে, এধরণের যে কোন কিছু টিউনে এড করতে এখানে যেতে হবে। টিউনের কোন অংশ পর্যন্ত যদি আপনি মানুষকে দেখাতে চান এবং সে অংশটুকুর পর আরো দেখুন লিখা থাকবে সেটুকু নির্বাচন করতে 'ব্লগ টিউনের সারাংশ ঢুকান' ব্যবহৃত হয়।

তারপর আছে 'সারিবদ্ধতা' বা 'Alignment'। আপনার লেখাকে পেজে কিভাবে বিন্যস্ত করতে চান সেটা এখান থেকে ঠিক করে নিতে পারেন। 'সারিবদ্ধতা'র পাশেই আছে 'নম্বরযুক্ত তালিকা'। আপনার টিউনে কোথাও কোন কিছুর ১,২,৩... এরকম নাম্বার দিয়ে তালিকা করার প্রয়োজন হলে এই বাটন ব্যবহার করতে হবে।

'নম্বরযুক্ত তালিকা'র পাশেই আছে 'বুলেট তালিকা'। নম্বরের মতই কোন টিউনে যদি বুলেট তালিকার দরকার পড়ে তাহলে এই বাটন ব্যবহার করতে হবে। কোন ব্যক্তির কথা বা এমন কোন উদ্ধৃতি বিশেষভাবে নির্দেশ করার জন্য আছে 'উদ্ধৃতি'। আর যে কোন রকম ফরম্যাটিং বাতিল করে দিতে বা সে ফরম্যাটিং এ আর না লিখতে চাইলে আছে 'ফরম্যাটিং সরান'।

এরপর আছে 'বানান পরীক্ষা করুন', 'টাইপ করার ধরন সিলেক্ট করুন' এবং 'টাইপিং করার ধরণের ভাষা সিলেক্ট করুন' বাটঙ্গুলো। বানান পরীক্ষা নিয়ে কিছু বলার নেই। টাইপ করার ধরণ অর্থাৎ আপনি ইউনিকোডে নাকি অন্য কোন ভাবে টাইপ করবেন সেটা আর সেই টাইপ করার ধরণের ভাষা কি হবে সেটা নিয়েই বাকি দুই বাটন।

তারপর আছে আপনার লেখাগুলো কিভাবে থাকবে 'বাম থেকে ডানে' নাকি 'ডান থেকে বামে'। সাধারণত আমরা বাম থেকে ডানেই ব্যবহার করি। আরবি ভাষার ক্ষেত্রে ডান থেকে বামে ব্যবহার করতে হবে।

সবার উপরে দেখুন একটা বক্স আছে। যেখানে লেখা আছে 'টিউন শিরোনাম'। এখানে আপনার টিউনের শিরোনামটি লিখতে হবে। শিরোনামের কথা এসে বললাম শেষে!!!

এগুলো হল মূলত টিউন লেখার সময়কার কিছু কাজের ফিচার। এখন এর বাইরের এই পেজে থাকা বাকি বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

উপরে আছে 'প্রকাশ', 'সংরক্ষণ', 'পূর্বরূপ' এবং 'বন্ধ'। টিউন ব্লগে প্রকাশ করার জন্য 'প্রকাশ', টিউন ড্রাফট হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য 'সংরক্ষণ', টিউন প্রকাশের পর টিউন দেখতে কেমন হবে সেটা ব্লগে আগে গিয়েই দেখার জন্য বা প্রিভিউ এর জন্য 'পূর্বরূপ' এবং টিউন লেখা বন্ধ করে ড্যাসবোর্ডে ফিরে যেতে 'বন্ধ' ব্যবহৃত হয়।

এরপর ডানপাশে উলম্বভাবে আছে 'লেবেল', 'সময়সূচি', 'পার্মালিংক', 'অবস্থান', 'বিবরণ অনুসন্ধান করুন' এবং 'বিকল্প'। লেবেল হল টিউনটি কোন ধরণের সেই ধরণ সিলেক্ট বা তৈরী করে দেয়ার জন্য। সময়সূচি থেকে টিউন করার সময় সেট করে নেয়া যাবে। পার্মালিংক থেকে টিউনের জন্য আপনার ব্লগে একটা কাস্টম ওয়েবএড্রেস তৈরী করে দেয়া যাবে।

অবস্থান সম্পর্কে বলার কিছু নেই। টিউনকারীর অবস্থান এখান থেকে সিলেক্ট করে দেয়া যায়। বিবরণ অনুসন্ধান মূলত ব্লগে SEO এর জন্য ব্যবহৃত হয়। এ সম্পর্কে আমরা পরে জানব। বিকল্প থেকে আপনি টিউনে মানুষকে টিউমেন্ট করতে দিতে চান কিনা, রচনা করার ধরণ(এটা সম্পর্কে না জানলেও চলবে), এবং কোন একটি লাইনে বিরতির জন্য HTML ফরম্যাটে কি ব্যবহার করা হবে সেটা ঠিক করে নিতে পারবেন।

আপনি যদি তিনটি পর্বই মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে এখন আপনি ব্লগারের সকল টুল, বাটন এবং ফিচারের সাথে পরিচিত। এখন আমরা আমাদের ব্লগের দিকে নজর দেব। আগামী পর্বে আমরা টিউন করা, ব্লগের জন্য থিম পছন্দ করা, থিম ইন্সটল করা এবং থিম কাস্টমাইজ করা শিখব। কেমন লাগল আজকের পর্ব জানাতে ভুলবেন না। আর যে কোন মতামত জানাতে পারেন টিউমেন্টে। টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Level 2

আমি হাসিবুর ইসলাম নাসিফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 76 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

বিষাদময় পৃথিবীতে আমি আনন্দ খুঁজে নিই সবকিছু থেকে। আর স্বপ্ন দেখি মহাকাশ ভেদ করে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবার। স্বপ্নচারী আমার স্বপ্নগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে আমাকে। হাত ধরে চলো স্বপ্ন দেখি একসাথে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

টেকটিউনস ডিফল্টলি ‘পোস্ট’ লেখাটিকে সবসময় ‘টিউন’ করে দেয়। পোস্টে থাক সকল ‘টিউন’কে পড়ুন ‘পোস্ট’।
ধন্যবাদ।

[I Have Already know about that]Thanks For Share