ব্যান্ডওয়াইডথ+আপলিংক+ডিস্ক স্পেস+পিএইচপি ভার্সন+আপটাইম টিউটোরিয়াল

ডিস্ক স্পেস/ওয়েব স্পেস (Disk Space)

ডিস্ক স্পেস বা ওয়েব স্পেস হচ্ছে আপনি সার্ভারে যতটুকু জায়গা নিবেন সেটা। এটা আপনি ঠিক করবেন আপনার সাইটের উপর ভিত্তি করে যদি ছোটখাট সাইট হয় তাহলে কয়েকশ মেগাবাইট জায়গা নিলেই চলবে। কিন্তু আপনার সাইটে যদি অডিও, ভিডিও, গ্রাফিক্সের কাজ থাকে তাহলে বেশি লাগবে। যেমন এই সাইটের জন্য 500MB এর মত স্পেস লেগেছে। 1GB (গিগাবাইট) = 1000MB (মেগাবাইট)। যাইহোক ২ ধরনের হার্ডডিস্ক পায়া যায়

১. HDD (Hard Disk Drive) : সাধারন হার্ড ডিস্ক, ডেটা platter এ থাকে। দাম কম। একটু ধরীগতির তবে অল্প দামেই শত শত GB স্টোরেজ (স্পেস) দিয়ে দিবে এমনকি TB (টেরাবাইট) তে। 1TB (টেরাবাইট) = 1000GB (গিগাবাইট)। যদি আপনার সাইটে কোটি কোটি ফাইল (বা যেকোন রিসোর্স) থাকে এবং খুব faster এগুলি একসেস করতে হবে এরুপ বাধ্যবোধকতা নেই তাহলে এটা ব্যবহার করা উচিৎ হবে। যেমন আর্কাইভ কিংবা ডেটা স্টোরেজ টাইপের সাইটের।

২. SSD (Solid State Drive) : ডেটা microphis এ থাকে, এটার দাম বেশি তবে জায়গা (স্পেস/স্টোরেজ) কম পাবেন। এটার পারফর্মেন্স সুপার। খুব faster কাজ করে HDD এর চেয়ে। যদি আপনার সাইট busy সাইট হয় তাহলে এরুপ হার্ডডিস্ক নিতে পারেন।

RAID ডিস্ক কি? RAID 0, RAID 1, RAID 10 এসব কি?

RAID (Redundant Array of Independent/Inexpensive Disk) : হোস্টিং এর সময় যখন হার্ড ডিস্কের কথা শুনবেন তখন এই RAID শব্দটি সাথে শুনে থাকবেন। এটা হচ্ছে একই ডেটা একাধিক ডিস্কে রাখার একটা প্রযুক্তি। এটা এজন্য করা হয় যাতে একটা হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলেও অন্য আরেকটি থেকে ডেটা নিয়ে পূর্বাবস্থায় ফেরত আসা যায়। মুলত RAID ব্যবহার করে ডেটা সুরক্ষা বা protection এর জন্য।

RAID 0: ব্যবহার করা হয় দ্রুততার জন্য। এখানে একই ডেটা বিভিন্ন ভাগ হয়ে ডিস্কে (RAID 0 তে ২টি ডিস্ক থাকে) সেভ হয় (এটাকে টেকনিকালি বলে Disk Striping)। এটার পারফমেন্স ভাল হলেও ডেটা সুরক্ষিত নয় কেননা এখানে আসলে ডেটা অন্য কোথাও সেভ থাকেনা (এটাকে টেকনিকালি বলে data redundancy নেই) তাই হার্ড ডিস্ক ক্রাশ করলে সব হারিয়ে গেল।

RAID 1: এটাকে ডিস্ক মিররও (Disk mirroring) বলা হয়। এখানে একাধিক ডিস্ক থাকে এবং ডেটা রিডানডেন্সি (redundancy) আছে। ফলে একটা ডিস্ক ক্রাশ করলেও অন্যটির ডেটা নিয়ে রিস্টোর করা যায়। বেশির ভাগ ডেডিকেটেড হোস্টিং প্যাকেজে RAID 1 ডেটা protection সার্ভিস থাকে। এখানেও দুটি ডিস্ক থাকে।

RAID 10:  এটা সবচেয়ে ভাল। এটাকে RAID 1+0 এভাবেও বলে আবার RAID 0+1 এভাবেও কনফিগার করা যায়। মুলত RAID 0 এবং RAID 1 নিয়ে RAID 10 হয়েছে (মোট ৪টি ডিস্ক থাকে)। এটি অনেক faster এবং ডেটা protection এও বস। এবং অবশ্যই এরুপ হার্ড ডিস্ক নিলে RAID 1+0 নিবেন। RAID 0+1 নিয়েননা। এরুপ আরো আছে RAID 2, RAID 3 ইত্যাদি। মুল ধারনাটুকু আলোচনা করে দিলাম।

ব্যান্ডওয়াইডথ (Bandwidth)

এটা হচ্ছে সার্ভার থেকে ইউজারের (ইউজার হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে আপনার সাইটটি ব্রাউজ করে) কম্পিউটারে মাসে কতটুকু ডেটা transfer হবে। যদি আপনার সাইট অনেক বিখ্যাত হয় এবং প্রতিদিন হাজার হাজার বার ভিজিট হয় তাহলে আপনার অনেক ব্যান্ডওয়াইথ লাগবে। অনেকে অল্প ব্যান্ডোয়াইথ নেয় হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছ থেকে ফলে মাসের মাঝখানে সাইট damage হয়ে যায়। মনে হয় সে ধারনাই করতে পারেনাই যে তার সাইট টি এত লোক ভিজিট করবে। হোস্টিং প্রোভাইডাররা তাদের প্যাকেজগুলোতে প্রতিটি প্যাকেজের জন্য আলাদা আলাদা ব্যান্ডোয়াইথ নির্দিষ্ট করে দেয় যেমন 5GB, 8GB ইত্যাদি। আপনার কোনটি দরকার তা হিসেব করে দেখবেন নিচে একটা হিসেব করার নিয়ম দেয়া হল-

পেজের গড় সাইজ*আনুমানিক মাসে কতবার পেজ ভিজিট হবে

যদি পেজের সাইজ গড়ে 30KB হয় আর আপনার অনুমান মাসে 50, 000 বার পেজ দেখা হবে তাহলে আপনার মাসে ব্যান্ডওয়াইথ দরকার হবে 0.03MB*50000=1.5GB

বড় বড় কমার্শিয়াল সাইটগুলির মাসে 100GB এর চেয়েও বেশি ব্যান্ডওয়াইথ খরচ হয়।

কানেকশন স্পিড (Connection Speed) বা আপলিংক

আপলিংক হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে আপনার সার্ভার কতটুকু ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবে। যেমন আপনি যদি আপনার ডেডিকেটেড হোস্টিং প্যাকেজে 100Mbps আপলিংক পান তার অর্থ হল আপনার সার্ভার সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট ডেটা ট্রান্সফার করতে পারবে।

পিএইচপি ভার্সন (PHP version)

কিছুদিন পরপরই পিএইচপির নতুন নতুন ভার্সন আসে তাই হোস্টিং করানোর আগে দেখে নিবেন তাদের সার্ভার পিএইচপির সর্বশেষ ভার্সন সাপোর্ট করে কিনা তা না হলে PHP code ঠিকমত এক্সিকিউট হবেনা। বর্তমানে (ফেব্রু'১৫) পিএইচপির ৫.৬ ভার্সন চলছে, তবে নিশ্চিত হয়ে নিবেন যেমন কমপক্ষে পিএইচপি ভার্সন ৫.৪ এর উপরে থাকে।

আপটাইম (Uptime)

যে হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে আপনার সাইট হোস্ট করাবেন তাদের সেই সার্ভার যতক্ষন চালু থাকবে ততক্ষন আপনার সাইটও খোলা থাকবে। প্রায় সব হোস্টিং প্রোভাইডার প্রতিশ্রুতি দেয় ৯৯.৯৯% আপটাইম দেবে। কিন্তু কাজের বেলায় এসব উষ্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যায়না (বিশেষ করে বাংলাদেশী প্রোভাইডারদের ক্ষেত্রে)। যদি সার্ভার বন্ধ থাকে আর সেই সময় যদি কেউ আপনার সাইটে ঢুকতে চায় তাহলে পারবেনা এমনকি সার্চ ইন্জিনগুলোর সার্চ রেজাল্টেও দেখাবেনা ফলে আপনার সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন ব্যার্থতায় পর্যবশিত হবে। গুগল আপনার সাইটের ranking অনেক নিচে নামিয়ে দেবে। আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার আপনাকে আপটাইম কতক্ষন দিচ্ছে তা http://www.internetseer.com  বা http://www.alertra.com এই সাইট থেকে বিনামুল্যে যাচাই করে দেখতে পারেন।

ফ্রি ডোমেইন এবং ফ্রি SSL সার্টিফিকেট অফার, অফারটি হোস্টিং প্লানের সাথে প্রযোজ্য। আমরা বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ওয়েব হোস্টিং এবং ডোমেইন প্রোভাইডার। USA সার্ভার। SSD হোস্টিং সার্ভার। Call: 01720425038
আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: http://www.cloudserverbd.com

Level 0

আমি ক্লাউড সার্ভার বিডি। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 23 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 8 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 39 টিউনারকে ফলো করি।

I am a full time online Domain Hosting provider, Web Design expart Owner of CloudServerBD.Com


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস